জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের নেতা জুবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। নিহত জুবায়েদ ছিলেন জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। প্রেমঘটিত দ্বন্দ্ব থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি ভবনের সিঁড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জুবায়েদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি নিয়মিতভাবে ওই ভবনের একটি বাসায় এক ছাত্রীকে টিউশনি করাতেন। ঘটনার দিনও তিনি সেখানে পড়াতে গিয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, টিউশনি করতে যাওয়ার সময় সিঁড়িতেই তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
বংশাল থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই ভবন থেকে দুই তরুণকে দৌড়ে পালাতে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়। তাদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে মাহির রহমান নামে। জানা গেছে, মাহিরের সঙ্গে ওই ছাত্রীর ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা সম্প্রতি ভেঙে যায়। এরপর থেকেই জুবায়েদের সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়। ঘটনার দিন টিউশনি করতে যাওয়ার পথে জুবায়েদের সঙ্গে মাহিরের মুখোমুখি দেখা হয়। সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং কিছুক্ষণ পরেই জুবায়েদ খুন হন।
ঘটনার পর ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে সন্দেহভাজন মাহিরসহ চারজনকে আটক করা হয়।
হত্যার পরদিন সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে জুবায়েদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এরপর তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয় এবং সেখানেই দাফন সম্পন্ন হয়।
জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হত্যা, আটক ৩