ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বুটেক্সের দুই হলে নেই সিলিং ফ্যান, গরমে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম

গরমে সারাদেশের মানুষ অতিষ্ঠ। এই গরমে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) দুই আবাসিক হলে নেই সিলিং ফ্যান। যে কারণে শিক্ষার্থীরা কষ্ট করেই থাকছেন টিকে থাকার হলে। তাই বাধ্য হয়ে গরম থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহার করছেন টেবিল ফ্যান। আর সেই ফ্যানের বাতাসে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

জানা যায়, বুটেক্সের চারটি আবাসিক হল হলো, সৈয়দ নজরুল ইসলাম হল, এমএজি ওসমানী হল, শহীদ আজিজ হল, শেখ হাসিনা হল। এরমধ্যে শহীদ আজিজ হল ও জিএমএজি ওসমানি হলে নেই সিলিং ফ্যান।   

সরেজমিনে শহীদ আজিজ হলে দেখা গেছে। হলের ৫৮টি রুমের মধ্যে ডাইনিং, রিডিং, টিভি রুম, হল সংসদ ও প্রভোস্টের রুম ব্যতীত কোনো রুমে সিলিং ফ্যান নেই। টিভি রুমে মাত্র ৩টি ফ্যান রয়েছে যার মধ্যে ২টি নষ্ট। জিএমএজি ওসমানি হলে দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র। এ হলের ৭৮টি রুমের মাঝে ৫৯টি রুম পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, অফিস, ডাইনিং, জিমনেসিয়াম রুম ও আর একটি রুম বাদে কোথাও কোনো ফ্যান নেই। জিমনেসিয়াম রুমে ফ্যান আছে ২টি।

শহীদ আজিজ হলের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আন-নাফি জিম বলেন, হলে সিলিং ফ্যান না থাকায় আমরা গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়ছি। পড়াশোনার বাধার মুখে পড়ছে। শিক্ষার্থীরা নিজস্ব টেবিল ফ্যান ব্যবহার করছে। এ ফ্যানের বাতাস কোনোভাবেই স্বস্তিদায়ক নয়। শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে ফ্যান লাগাতে চাইলেও টাঙানোর ব্যবস্থা নেই। তাই হল প্রশাসনের উচিৎ ফ্যানের ব্যবস্থা করা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪৭তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, টেবিল ফ্যান ব্যবহারের ফলে শরীরের এক স্থানে বাতাস লাগে, যার ফলে তার শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। কেউ কেউ জ্বরে ভুগছে। এ দিকে সিলিং ফ্যান না থাকার পেছনে অনেকে দোষছেন সাবেক শিক্ষার্থীদের। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, হলের সব রুমেই ফ্যান ছিল। সাবেক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় নিজেদের কাজে ব্যবহারের জন্য ফ্যানগুলো খুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন অভিযোগের পেছনে তৎকালীন হল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে। 

হলে ফ্যান সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে ওসমানি হলে দায়িত্বে থাকা মো. আইয়ুব জানান, প্রকল্প পরিচালকের কাছে অনেক আগে দুইবার রিকুইজিশন লেটার পাঠানো হলেও পরবর্তীতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন এবং প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফ্যানগুলো হলে আনার কথা হয়। পরে নানা কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। 

শহীদ আজিজ হলের হল প্রভোস্ট ড. মো. ইমদাদ সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যান দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ফ্যান দেওয়ার জন্য স্বাক্ষরসহ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। তাহলে আমরা বিষয়টি হল প্রশাসনকে জানাতে পারি। এই অর্থবছরে বাজেটতো শেষ। নতুন বাজেটে যাতে আসে সেই চেষ্টা করা হবে।

ওসমানী হলের প্রভোস্ট ড. মো. সাইদুজ্জামান নতুন বাজেটে ফ্যান লাগানোর চেষ্টার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন।

ZM
আরও পড়ুন