শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের কাছে শব্দদূষণ এক নিত্যনৈমিত্তিক যন্ত্রণার নাম! অফিস সময়ে তীব্র যানজট, আটকে থাকা গাড়ির মাত্রাতিরিক্ত হর্ণে অতিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়টির নবাব সিরাজ উদ-দৌলা হলের শিক্ষার্থীরা। একাধিকবার প্রশাসনের নিকট অভিযোগ, আন্দোলন কিংবা রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে প্রতিরোধ জানান দেওয়ার পরেও মিলেনি স্থায়ী কোনো সমাধান।
শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে ৮ মাস পূর্বে গত ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে প্রতিবাদে নামে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে শব্দদূষণ রোধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ। দ্রুত সমস্যা সমাধান না হলে আবারও রাস্তা অবরোধে নামবে শিক্ষার্থীরা এমন শর্তে অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে ৮ মাস অতিক্রম হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি শব্দদূষণের। আন্দোলনের পর পর কিছুদিন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন গেইটে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সহ কিছু উদ্যোগ নিলেও সময়ের সাথে সাথে তার তৎপরতা কমে যায়। গাড়ির এই মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শেকৃবির নবাব সিরাজ উদ-দৌলা হলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। তীব্র শব্দে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তাদের স্বভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতের আশপাশে অনুমোদিত শব্দদূষণ মাত্রা ৪০-৫০ ডেসিবেল। কিন্তু নবাব সিরাজ উদ-দৌলা হলের আশেপাশে ৭০-৯০ ডেসিবেল পর্যন্ত পৌঁছায়। আবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ৬০ থেকে ৮৫ ডেসিবেল পাওয়া গিয়েছে। যা বিভিন্ন শারিরীক ও মানসিক সমস্যা সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
উক্ত সমস্যা সমাধানের প্রসঙ্গে শেকৃবি প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ জানান, শব্দদূষণের বিষয়ে আমরা থানা, কমিশনার অফিস সব জায়গায় চিঠি দিয়েছি। ক্যাম্পাসের বাইরের এখতিয়ার তো আমাদের নাই। যেহেতু প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি এর ব্যবস্থা ওনারা নিবেন। আমরা সব জায়গায় চিঠি দিয়েছি। আর ছাত্ররা আবার অভিযোগ করলে আমরা আবার চিঠি পাঠাব।
