খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার(১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ামোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, তানভীর মন্ডল, ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, ইসমাইল হোসেন রাহাত, সায়েম আহমেদ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
মিছিলে শিক্ষার্থীদের,'শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলে না', 'লীগ গেছে যে পথে, দল যাবে সেই পথে', 'টেম্পু না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা','চাঁদাবাজি না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা', 'আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বটতলায় একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করে শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে সহ-সমন্বয়ক ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, আজকে তারা দিল্লিতে বসে থাকলেও তাদের ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। আজকে কুয়েটে যে হামলা হয়েছে সেই হামলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও হতে পারে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাসীদের কোনো পরিচয় নেই, তারা সন্ত্রাসী। অতিদ্রুত এদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তাদের কোনো ছাত্রত্ব থাকতে পারে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যখন ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে তখন আমরা ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী বলেছি। আজকের ঘটনায় যদি সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের হয়ে থাকে তাহলেও আমার বলতে বাধা নেই, তারা সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যহত থাকবে। কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিবের উপর ছাত্রদল হামলা করেছে। জুলাই আন্দোলনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাস পরিচয় বহন করেছে, আমরা তাদের প্রতিহত করেছি। আমি বলে দিতে চাই, যদি ছাত্রদল এই সন্ত্রাসী পরিচয় বহন করে তাদেরকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেয়। আমরা ছাত্রসমাজ তা প্রতিহত করব।
তিনি আরও বলেন, যদি আপনারা ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে ধরে থানায় দিতে পারেন তাহলে আপনাদের ৫০০ টাকা করে উপহার দেয়া হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের আপনারা থানায় সোপর্দ করেন।
