ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চবির সবুজ ক্যাম্পাস গ্রীষ্মের উত্তাপকে হার মানায়

আপডেট : ০৬ মে ২০২৫, ০৯:৪২ এএম

গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ যখন চারপাশকে নিস্তেজ করে তোলে, তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এই সবুজ ক্যাম্পাস রঙিন হয়ে ওঠে জারুল, কৃষ্ণচূড়া আর সোনালুর মনোমুগ্ধকর ফুলে। প্রতিটি পথ, মোড় আর উন্মুক্ত প্রান্তর যেন রঙের ছোঁয়ায় নতুন জীবন পায়, প্রকৃতি যেন নিজ হাতে আঁকে এক অনবদ্য চিত্রপট।

গ্রীষ্মের আগমনে চারদিকে ফুটতে শুরু করেছে নানা প্রজাতির ফুল। সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, জারুল, চম্পা, করবী, পত্রলেখা, জবা, টগর, স্যালভিয়া, ভৃঙ্গরাজ, রঙ্গন, বাগান বিলাসসহ অসংখ্য ফুল শোভা ছড়াচ্ছে চবি ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলা, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, আইন অনুষদ কিংবা আইইআর-এর সক্রেটিস চত্বর—সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে জারুলের বেগুনি মায়া। নীলচে আভায় ঢাকা গাছগুলো যেন এক নিঃশব্দ কাব্যগাথার জন্ম দেয়। জীবনানন্দ দাশের ভাষায় বলতে হয়, ‘ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দুপুর—জারুল গাছের ডালে বসে থাকে একা চিল।’

অন্যদিকে, কৃষ্ণচূড়ার আগুনরাঙা সৌন্দর্য যেন গ্রীষ্মের উত্তাপকেও হার মানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশ থেকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের সড়কপথ—সবখানেই কৃষ্ণচূড়ার উজ্জ্বল লাল ফুলের মেলার দেখা মিলে। ঝলমলে রোদে কৃষ্ণচূড়া যেন রক্তিম শিখার মতো দগ্ধ করে পথচারীর হৃদয়। প্রকৃতির এই অনবদ্য শিল্পকর্ম মুগ্ধ করে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রতিটি দর্শনার্থীকে।

এদিকে, সোনালু ফুলের স্নিগ্ধ সৌন্দর্য ক্যাম্পাসের রঙিন আয়োজনকে এনে দেয় শান্তির পরশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ, আইইআর ও কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে ঝুলে থাকা সোনালু ফুলের ঝাড়গুলো রোদে ঝিলমিল করে, দেখে মনে হয় যেন সূর্যের কিরণও এই ঝুমকাগুলোর কাছে হার মানে।

ফুলের সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে শিক্ষার্থীরা মুঠোফোন আর ক্যামেরায় বন্দি করছেন সুন্দর মুহূর্তগুলো। যারা এই দিনে ক্যাম্পাসে হাঁটছেন, তাদের কাছে চবি যেন এক স্বপ্নের রাজ্য—যেখানে প্রকৃতি তার অনবদ্য সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে।

গ্রীষ্মের কড়া রোদ আর ক্লান্তি ভুলিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এভাবেই পরিণত হয়েছে রঙের এক প্রাণবন্ত উৎসবে—যেখানে প্রতিটি ফুল কথা বলে, প্রতিটি রঙ হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

RK
আরও পড়ুন