উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া এক স্বপ্নপুরীর নাম যেখানে বিশ্বমানের শিক্ষা, গবেষণা ও কর্মসংস্থানের অপার সুযোগ মিলছে একই ছাদের নিচে। তবে স্বপ্নের এই যাত্রা শুরু করার আগে দরকার তথ্যভিত্তিক প্রস্তুতি। ওশেনিয়া মহাদেশের বৃহত্তম দেশটি এখন বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যগুলোর অন্যতম।
কেন অস্ট্রেলিয়া উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং অনুযায়ী শিক্ষার্থীবান্ধব শীর্ষ দশ শহরের তালিকায় রয়েছে মেলবোর্ন (৫ম) ও সিডনি (৬ষ্ঠ)। যদিও খরচ তুলনামূলক বেশি, তবুও মানসম্পন্ন শিক্ষার কারণে এই মেগাসিটি দুটিকে বেছে নিচ্ছে বিশ্বের লক্ষ শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়েও রয়েছে চোখধাঁধানো উপস্থিতি
* ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন (১৩)
* ইউনিভার্সিটি অব সিডনি (১৮)
* ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (১৯)
* অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৩০)
* মোনাশ ইউনিভার্সিটি (৩৭)
* ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড (৪০)
প্রযুক্তি, মেডিসিন, ইঞ্জিনিয়ারিং, মানবিকসহ সব বিষয়ের শিক্ষায় রয়েছে বিশ্বসেরা রেটিং। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী, খ্যাতনামা গবেষক, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকেরা।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে
* কম্পিউটার সায়েন্স ও আইটি
* ইঞ্জিনিয়ারিং
* অ্যাকাউন্টিং
* সাইকোলজি
* হেলথ সায়েন্স ও নার্সিং
* আর্কিটেকচার
* বিজনেস ও ম্যানেজমেন্ট
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
বছর জুড়ে সাধারণত তিনটি মৌসুমে ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করে থাকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। মৌসুমগুলো ফেব্রুয়ারি, জুলাই ও নভেম্বর ইন্টেক হিসেবে পরিচিত।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কোর্সে ভর্তির সুযোগ থাকে ফেব্রুয়ারি ইন্টেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ থেকে শুরু করে মে মাসের শেষ বা জুনের শুরু পর্যন্ত। আবেদন গ্রহণ করা হয় আগের বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে। ইন্টার্নশিপ বা কর্মসংস্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে এই মৌসুমটিই সর্বাধিক উপযুক্ত।
জুলাই ইন্টেকের আবেদন নেওয়া হয় এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত। অতঃপর ভর্তি শুরু হয় জুলাইয়ের শেষ বা আগস্টের শুরুর দিকে। তারপর নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি।
সর্বশেষ নভেম্বর ইন্টেকে আবেদনের সময় সেপ্টেম্বর মাস। ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান থাকে নভেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই আবেদনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল। মৌসুমগুলোকে কেন্দ্র করে এই ওয়েবসাইটগুলোতে ভর্তির যাবতীয় শর্ত, কোর্সের পর্যাপ্ততা ও আবেদনের সময়সীমা হালনাগাদ করা হয়। তাই অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জানতে প্লাটফর্মগুলোতে চোখ রাখা উচিত।
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
অনলাইন আবেদনপত্র: একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট: স্নাতকের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের নথি, স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকের নথি এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র।
ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র: ন্যূনতম যোগ্যতা স্বরূপ আইইএলটিএস স্কোর ৬, টোফেল আইবিটিতে ৬৪, কেম্ব্রিজ ইংলিশ: অ্যাড্ভান্স্ড-এ ১৬৯, বা পিটিই (পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ) একাডেমিক-এ ৫০।
* সিভি বা পোর্টফোলিও
* এসওপি (স্টেটমেন্ট অব পার্পাস) বা পার্সনাল স্টেটমেন্ট
* লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)
* রিসার্চ প্রোপোজাল (ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য)
* পেশাগত অভিজ্ঞতাপত্র (এমবিএ প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে)
* বৈধ পাসপোর্ট
* সাম্প্রতিক ছবি
অধ্যয়ন ফি প্রদানের জন্য আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ: কমপক্ষে কোর্সের প্রথম ১২ মাসের ফি। কোর্স ১২ মাস বা তার কম হলে সম্পূর্ণ ফি পরিশোধ করতে হবে। স্বাস্থ্য বীমা স্বরূপ ওএসএইচসি (ওভারসিজ স্টুডেন্ট হেলথ কভার)
আবেদন ফি: সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা ৪ হাজার ৯৩ থেকে ৮ হাজার ১৮৫ টাকা (১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার = ৮১ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা) এর বাইরেও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথি চাওয়া হতে পারে। কোনো কাগজ বাংলায় হলে তা অবশ্যই ইংরেজিতে অনুবাদ করে মূল কপিসহ অনুদিত কপি স্ক্যান করতে হবে। এখানে অনুবাদককে অবশ্যই জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে।
অস্ট্রেলিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের মতো দীর্ঘমেয়াদী কোর্সগুলোতে অধ্যয়নের অনুমতি দেয় অস্ট্রেলিয়ার সাবক্লাস ৫০০ স্টুডেন্ট ভিসা। এখানে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দসই বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারে।
এই ভিসার আবেদনের জন্য অফলাইন ও অনলাইন দুই মাধ্যমেই রয়েছে।
ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
* বৈধ পাসপোর্টের সঙ্গে জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভার লাইসেন্সের প্রত্যয়িত অনুলিপি
* অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীর জন্য জারি করা ভর্তির অফার লেটার
* স্বাস্থ্য বীমা হিসাব ওএসএইচসি: বীমার মূল্যমান ন্যূনতম বার্ষিক ১ হাজার ডলার বা ৮১ হাজার ৮৫০ টাকা
* শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সনদপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেফারেন্স বা রিকমেন্ডেশন * লেটারের প্রত্যয়িত অনুলিপি)
* পিএইচডির জন্য থিসিস বা রিসার্চ প্রোপোজাল; সাথে সিভি
* আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ: জীবনযাত্রার খরচ বাবদ ১২ মাসের জন্য ২৯ হাজার ৭১০ ডলার (২৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৭২ টাকা), ভ্রমণ খরচ ২ হাজার ডলার (১ লাখ ৬৩ হাজার ৭০০ টাকা)। এর প্রমাণ স্বরূপ নিজের নামে থাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদর্শন করতে হবে।
* শিক্ষার্থী নিজেই এই খরচ বহন করলে তার আয়ের উৎস হিসেবে কর্মসংস্থানের প্রমাণ: চাকরীজীবী হলে, চাকরীর বেতন, পদবী ও সময়কাল * উল্লেখপূর্বক নিয়োগকর্তার নিকট থেকে কর্মসংস্থান শংসাপত্র।
* কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ তুলে থাকলে তার বিস্তারিত চুক্তিনামা
* স্কলারশিপের ক্ষেত্রে স্কলারশিপ প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিবৃতি পত্র
* এছাড়া অন্য কেউ আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকলে যে তথ্যগুলো দিতে হবে
প্রত্যেকটি নথির মূল এবং অনুলিপি উভয় কপির রঙিন ও স্পষ্ট স্ক্যান করতে হবে যেন তা সহজে পাঠযোগ্য হয়। কোনো নথি একের অধিক পৃষ্ঠার হলে সবগুলোকে ১টি ফাইলে নিতে হবে।
পরিচয়ের নথিগুলো প্রতিটি অনুর্ধ্ব ৫০০ কিলোবাইট আর বাকি নথিগুলোর প্রতিটি সর্বোচ্চ ৫ মেগাবাইট পর্যন্ত হতে পারবে।
বায়োমেট্রিক নিবন্ধন
ভিসা কেন্দ্রে যাওয়ার আগে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য এই লিংকে যেয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। যারা এর আগে ভিসা আবেদনের জন্য এই সাইট ব্যবহার করেছেন তাদের আর নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে না। শুধু সাক্ষাৎকারের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং দিলেই হবে। ই-মেইলের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানিয়ে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়া হবে। এই লেটারটি প্রিন্ট করে সেই নির্দিষ্ট সময়ানুযায়ী পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদনের যাবতীয় নথি সহকারে কন্স্যুলেটর অফিসে যেতে হবে। এগুলোর কোনোটিই অফিসে রেখে দেওয়া হবে না। কেবল প্রার্থীকে তাৎক্ষণিক যাচাইয়ের জন্য দরকার হবে।
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
আবেদন জমা দেওয়ার পর থেকে নিয়মিত ইমি অ্যাকাউন্ট বা ভিএফএস অ্যাকাউন্ট চেক করা জরুরি। কেননা যদি কোনো অতিরিক্ত তথ্য বা নথির প্রয়োজন হয় তবে এই অ্যাকাউন্টে বা ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হবে। এ সময় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আরও কিছু কাগজপত্র প্রদানের প্রয়োজন হতে পারে। এগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা জরুরি হচ্ছে পুলিশ সার্টিফিকেট।
এছাড়া চরিত্র মূল্যায়নের জন্য ব্যক্তিগত বিবৃতি স্বরূপ দুটি ফর্ম পূরণ করতে বলা হতে পারে।
এই প্রক্রিয়ায় ভিসার প্রায় ৯০ শতাংশ প্রস্তুত হতে সাধারণত ৪ মাস সময় লেগে যায়।
সাবক্লাস ৫০০ স্টুডেন্ট ভিসা ফি ১ হাজার ৬০০ ডলার কিংবা ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। এটি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ফি ২ হাজার ১৫৫ টাকা সরাসরি ভিএফএস সেন্টারে নগদে জমা দিতে হবে।
অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার সম্ভাব্য খরচ
উচ্চ অধ্যয়ন ফির দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। এখানে স্নাতক ডিগ্রির জন্য বাজেট রাখতে হবে ২০ থেকে ৪৫ হাজার ডলার, যা প্রায় ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬ থেকে ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ২৬৩ টাকা। ২২ থেকে ৫০ হাজার ডলারের (১৮ লাখ ৭০৬ থেকে ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৫১৪ টাকা) ব্যয়ভার রয়েছে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামগুলোতে। আর ডক্টরাল ডিগ্রিতে খরচ হয় প্রায় ১৮ থেকে ৪২ হাজার ডলার (১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩০৫ থেকে ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭১২ টাকা)।
এই ব্যয়বহুল অধ্যয়ন এবং জীবনযাত্রার অর্থ সঙ্কুলানের উৎকৃষ্ট মাধ্যম হলো স্কলারশিপগুলো। যেমন- মেলবোর্ন ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এখানে প্রথম বছরের জন্য ১০ হাজার ডলার (৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০৩ টাকা) অধ্যয়ন ফি ছাড় পাওয়া যায়।
মোনাশ ইন্টার্ন্যাশনাল লিডারশিপ স্কলারশিপ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরতদের জন্য। এখানে প্রোগ্রামের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রেডিট পয়েন্ট নির্ধারিত থাকে, যেটি পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত শতভাগ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
ইউটিএস ভাইস-চ্যান্সেলরের ইন্টার্ন্যাশনাল স্কলারশিপ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের ৫০ শতাংশ ব্যয়ভার গ্রহণ করে থাকে।
গ্লোবাল একাডেমিক এক্সিলেন্স স্কলারশিপে (ইন্টার্ন্যাশনাল) প্রতিটি অনুষদে অসামান্য একাডেমিক ফলাফল অর্জনকারীদের অধ্যয়ন খরচ থেকে ৫০ শতাংশ মওকুফ করা হয়।
পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ
সাবক্লাস ৫০০ স্টুডেন্ট ভিসার একটি প্রধান সুবিধা হলো- সেমিস্টার চলাকালে প্রতি ২ সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করা যায়। তবে অস্ট্রেলিয়ায় কাজের ক্ষেত্রে পূর্ণ বৈধতা পেতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই টিএফএন (ট্যাক্স ফাইল নাম্বার) নিতে হবে। কেননা বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের যাদের অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসের ৬ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে তাদের অবশ্যই আয়কর দিতে হয়।
কাজের অবস্থান, অভিজ্ঞতা ও কাজের ধরনের ওপর ভিত্তি করে চাকরির মজুরি ভিন্ন হয়ে থাকে। বিশেষ করে সিডনি, মেলবোর্ন, বা পার্থের মতো অভিজাত শহরে মজুরির পরিমাণ অন্যান্য শহরগুলোর তুলনায় বেশি।
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ এখন অনেকটাই সহজ। দরকার শুধু যথাযথ প্রস্তুতি, তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা আর ধৈর্য। ইংরেজি দক্ষতা, ফলাফল ও আর্থিক স্বচ্ছতা থাকলে স্কলারশিপসহ পছন্দের কোর্সে ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা কম। সঠিক পথে হাঁটলে ‘ডাউন আন্ডার’-এ শুরু হতে পারে আপনার ক্যারিয়ারের সোনালী অধ্যায়। সূত্র: ইউএনবি
