উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থীই বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু দুশ্চিন্তা হলো স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা বেশ কষ্টকর ও জটিল মনে হতে পারে। কারণ ফর্মপূরণ, নানা রকম কাগজপত্র, সময়সীমা এবং দূতাবাসে যাওয়া বিষয়গুলো নানা সময় হয়ে ওঠে ঝামেলার। কিন্তু এমন কিছু দেশ রয়েছে যারা এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে অনেক সহজ এবং শিক্ষার্থী বান্ধব করে তুলেছে।
যদি আপনি বিদেশে পড়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে নিচের এই ৮টি দেশ আপনার জন্য হতে পারে ভিসা প্রক্রিয়ায় স্বস্তির জায়গা। এসব দেশের ভিসা প্রক্রিয়া এমনভাবে গঠিত, যা আপনাকে উদ্বিগ্ন নয় বরং সফল হতে সাহায্য করবে।
১. জার্মানি
একবার যদি জার্মানির কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত হয়, ভিসা প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং সুসংগঠিত। দেশটির অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নেই। আর বিশেষ সুবিধায় রয়েছে- সাশ্রয়ী খরচ ও স্পষ্টভাবে নির্ধারিত পোস্ট-স্টাডি থাকার নিয়ম।
২. সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরে সোলার নামক ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসা সহজে অনলাইনে পাওয়া যায়। বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে- উচ্চমানের শিক্ষা এবং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ক্যারিয়ার-বান্ধব পরিবেশ
৩. অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলেছে একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, যার নাম ওসসরঅপপড়ঁহঃ। এটি এক ধরনের ওয়ান-স্টপ ড্যাশবোর্ড যেখানে আপনি প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করতে পারেন, আবেদন সংক্রান্ত আপডেট দেখতে পারেন এবং ভিসার সব বিষয় সহজে পরিচালনা করতে পারেন। ধাপে ধাপে নির্দেশনা থাকার কারণে, যাদের জন্য এটা প্রথমবারের মতো আবেদন প্রক্রিয়া—তাদের জন্যও এটি সহজ হয়। শিক্ষাকালীন সময়ে কাজ করার সুযোগ থাকে, এবং পড়াশোনা শেষে পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করার সুবিধাও রয়েছে।
৪. কানাডা
কানাডায় কিছু নির্দিষ্ট দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য (এসডিএস) নামে দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি পুরোপুরি অনলাইনে সম্পন্ন হয়। ফর্ম পূরণ থেকে শুরু করে আবেদন পর্যন্ত সবকিছু ট্র্যাক করা হয়। দেশটিতে বিশেষ সুবিধা হিসেবে থাকছে- পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ, পড়াশোনার পরে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ।
৫. নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ড নিরাপদ এবং শিক্ষার্থীবান্ধব। সরকারি ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আবেদন করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে দূতাবাসে যাওয়ার প্রয়োজনও হয় না। বিশেষ সুবিধা হলো- অনলাইন আবেদন এবং স্পষ্ট নির্দেশনা এবং সহজ প্রক্রিয়া।
৬. নরওয়ে
নরওয়ের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্যও টিউশন ফি নেই। ভর্তি নিশ্চিত হলে সহজ অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া রয়েছে। বিশেষ সুবিধা হলো- সহজবোধ্য ইমিগ্রেশন সিস্টেম ও বিনামূল্যে শিক্ষা।
৭. আয়ারল্যান্ড
আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল-টাইম কোর্সে ভর্তি হলে অনলাইনে ভিসার আবেদন করা যায়। আবেদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট পাওয়া যায়। বিশেষ সুবিধা হলো- পড়াশোনা শেষে দুই বছর থাকার সুযোগ ও ইউরোপিয়ান কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ।
৮. নেদারল্যান্ডস
এখানে সবচেয়ে ভালো দিক হলো বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই আপনার ভিসার আবেদন করে। আপনাকে শুধু প্রস্তুতি নিতে হয় যাওয়ার জন্য। বিশেষ সুবিধা হলো- ইংরেজিতে পড়ার সুযোগ ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ
সূত্র: ভ্যানগার্ড
