ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

এসএসসি পরীক্ষার ফল: ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে মেয়েরা

আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:০১ পিএম

বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গত কয়েক বছর ধরে মেয়েরা ধারাবাহিকভাবে ছেলেদের চেয়ে ভালো ফল করছে। পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিউভয় সূচকেই ছাত্রীরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে চলেছে। যা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ প্রবণতা নারীশিক্ষার অগ্রগতি এবং সামগ্রিক সামাজিক পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

২০২৪: পাসের হার ও জিপিএ, দুদিকেই এগিয়ে মেয়েরা

গত বছর (২০২৪ সাল) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ও পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে ছিলেন। ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসেছিলেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫১৭ শিক্ষার্থী। দেশের তিন হাজার ৭৯৯ কেন্দ্রে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। ১২ মার্চ শেষ হয় লিখিত পরীক্ষা।

পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ছিলেন ১০ লাখ ২৪ হাজার ৮০৩ জন, ছাত্র নয় লাখ ৮৮ হাজার ৭৯৪ জন। তাদের মধ্যে আট লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন ছাত্রী ও আট লাখ ছয় হাজার ৫৫৩ জন ছাত্র পাস করেছিলেন। এ হিসাবে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

অন্যদিকে, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন ছাত্রী এবং ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন ছাত্র ছিলেন। এবার ছাত্রদের চেয়ে ১৫ হাজার ৪২৩ জন বেশি ছাত্রী পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পান।

২০২৩: সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে মেয়েরা

২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিলেন মেয়েরা। পাসের হার এবং ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক দিয়েও ছাত্রদের পেছনে ফেলেন তারা। পরীক্ষার ফলাফলের তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছাত্রী ছিলেন ১০ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৭ জন এবং ছাত্র ১০ লাখ ৯ হাজার ৮০৩ জন। মোট পাস করেন ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন। এর মধ্যে ছাত্রী আট লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৬ জন এবং ছাত্র সাত লাখ ৯৬ হাজার ৪০৪ জন। অর্থাৎ ৪৮ হাজার ৩৩২ জন ছাত্রী বেশি পাস করেন।

মোট জিপিএ-৫ পান এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৯৮ হাজার ৬১৪, আর জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৯৬৪। অর্থাৎ ছাত্রদের চেয়ে ১৩ হাজার ৬৫০ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পান।

২০২২: এবারও পাসের হার ও জিপিএ, উভয়ে এগিয়ে মেয়েরা

করোনা ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি। তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৬ লাখ।

নয়টি সাধারণ বোর্ডে ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেন।

ওইবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যার দিক দিয়ে এগিয়ে ছিলেন মেয়েরা। ছাত্রদের পাসের হার যেখানে ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ, সেখানে ছাত্রীদের মধ্যে ৮৭ দশমিক ৭১ শতাংশ পাস করেন। জিপিএ-৫ পান দুই লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী এক লাখ ২১ হাজার ১৫৬ জন ও মেয়ে শিক্ষার্থী এক লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৬ জন।

RF/AHA
আরও পড়ুন