ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির (প্রস্তাবিত) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য জারি করা বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি ভর্তি বিজ্ঞপ্তিটি কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী আরিয়ান জামান ও সাগর কুমার ঘোষের পক্ষে আইনজীবী শাহ আলম অভি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জরী কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির (প্রস্তাবিত) প্রশাসক ও সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।
আগামী রোববার (১০ আগস্ট) বিচারপতি ফাতেমা নজীবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী শাহ আলম অভি।
আইনজীবী বলেন, বিদ্যমান অবকাঠামো অনুযায়ী সরকারি তিতুমীর কলেজে গত শিক্ষা বর্ষে স্নাতক (অনার্স) প্রথম বর্ষে ৫৪২৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধীন ২০২৪-২৫ শিক্ষা বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তিতুমীর কলেজের জন্য মাত্র ১৫১০টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একই অবকাঠামোতে আগে যেখানে ৫৪২৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো; বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর এখন সেই অবকাঠামোতে মাত্র ১৫১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রাখাটা বৈষম্যমূলক। এ কারণে তিতুমীর কলেজের দুজন শিক্ষার্থী এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছেন। বিচারপতি ফাতেমা নজীবের নের্তৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আবেদনটির ওপর শুনানি করার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার (১০ আগস্ট) এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সোমবার (২৮ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি (বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোতে) প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির (প্রস্তাবিত) অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস স্বাক্ষরে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে ১০ আগস্ট রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন। ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮শ’ টাকা এবং দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পাবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ হচ্ছে- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
অধ্যাদেশ জারির দাবিতে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
তিন দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম