ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে উত্তাল ভিকারুননিসা 

আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম

হিজাব পরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার জেরে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বসুন্ধরা শাখার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। 

তারা বরখাস্ত শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে পুনর্বহাল, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ‘অপপ্রচারকারীদের’ শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। 

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের সই করা এক নোটিশে ফজিলাতুন নাহারকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, স্কুলের বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অ্যাডহক কমিটির (অস্থায়ী কমিটি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।তাকে কেন চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তার কারণ সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয় নোটিশে।

ফজিলাতুন নাহার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে দাবি করেছেন। 

বুধবার (২৭ আগস্ট) তার পক্ষে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা সকালে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের আপা হিজাব পরতে নিষেধ করেননি, তিনি সঠিকভাবে হিজাব পরতে বলেছিলেন। প্যানেল শিক্ষার্থী যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলেন, তারা শেষ পিরিয়ডে ওই ক্লাসে গেলে আপা তাদের বলেছিলেন, বাইরে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। প্যানেল ছাত্রীরা ড্রেসকোড না মানা ছাত্রীদের বাইরে নিয়ে ৮-১০ মিনিট কথা বলেন।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, 'আমাদের শিক্ষককের নামে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা আপার পুনর্বহাল, অপপ্রচারকারীদের শাস্তি চাই।'  

দশম শেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি ছাত্রীদের ড্রেসকোড মানতে বলেছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’  

এদিকে সোমবার (২৫ আগস্ট) ফজিলাতুন নাহার বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থীর শৃঙ্খলা বিষয়ে কোনো ধরনের বিঘ্নতা ঘটছে কিনা, তা দেখছিল ভলেন্টিয়ার শিক্ষার্থীরা। পরে এক শিক্ষার্থী কোন ধরনের ওড়না পড়ে আসা যায়, সে ব্যাপারে আমার কাছে এসে পরামর্শ চায় এবং তাকে স্কুল কোড অনুযায়ী স্কার্ফ পড়ে আসতে বলি। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থীকে হিজাব বা ওড়না বিষয়ে কোনো কথা বলা হয়নি। যে শিক্ষার্থী পরামর্শ নিতে এসেছিল, তাকেই শুধু পরামর্শ দেওয়া হয়। বিষয়টা এমন নয় যে, তাকে ডেকে এনে পরামর্শ বা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

LH
আরও পড়ুন