গাঁজা সেবনকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাত শিক্ষার্থীকে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে আছেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তামিম। তিনি সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রসংসদে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল থেকে সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন। অন্যরা হলেন— পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নাঈম, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাবিত এবং ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির ও ইমরান।
এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদের ভিপি কাউছার হাবীব বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখছি যে কারা গাঁজা সেবনের মতো জঘন্য কাজগুলো করে। আমরা বিভিন্নভাবে তাদের পেয়েছি কিন্তু হলে মাদক নিয়ে কোনো রকম বিজ্ঞপ্তি না থাকায় আমরা কিছু করতে পারিনি। গতকালকে হল প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে মাদকের বিষয়ে। আমরা আজ হল সংসদের সদস্যরা মিলে দেখতে গিয়েছিলাম কেউ আছে কি না। হঠাৎ আমাদের দেখে তিন-চার জন দৌড় মারতে থাকে। তখন আমরা তাদের ধরি এবং পরে প্রভোস্ট স্যারকে কল দিই। এরপর সহকারী প্রক্টর স্যার আসেন এবং আমরা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, সোহরাওয়ার্দী হলের ভিপিসহ কয়েকজন কিছু শিক্ষার্থীকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় আটক করে এবং প্রক্টর অফিসে বিষয়টি অবগত করে। এরপর সেখানে আমরা কয়েকজন যাই এবং আটক সবাইকে ওই হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের কাছ থেকে গাঁজা ও অন্যান্য নেশাজাত দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়।
তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা গুরুতর অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
