ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০০ এএম

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এর ভোটগ্রহণ উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে। ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটার ডাকসুর ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন। 

আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রগুলোতে এ ভোটগ্রহণ হয়েছে। যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

এর আগে সোমবার রাতে (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোট। সব কেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক এবং বিঘ্নিত হবার কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই। 

চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে বৈধ কার্ডধারী সব শিক্ষার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে প্রচারণার সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের বড় কোনো অভিযোগ ও কোনো ধরনের সহিংসতা না হওয়ায় অনেকটা স্বস্তি আছে এই নির্বাচনকে ঘিরে। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ রীতিমতো ঝড় তুলেছে শেষের কয়েক দিন। এরপরও শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ নিশ্চিতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে ঢাবি উপাচার্যের পক্ষ থেকে। নির্বাচকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস এলাকায় মোতায়েন থাকবে দুই হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকেও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

একজন ভোটারকে মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি ও হল সংসদে ১৩ পদে ভোট দেবেন শিক্ষার্থীরা। নির্বাচনি ইশতেহারে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রার্থীরাও আশা করছেন শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হোক এই নির্বাচন। ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনের আগের এমন সৌহার্দ্য যেন ফলাফল ঘোষণার পরও বজায় থাকে সেই প্রত্যাশা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

১৯৯০ সালের পর ২০১৯ সালে দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ডাকসু নির্বাচন। তবে নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে সে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আবার ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন।

গত জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ডাকসুর গঠনতন্ত্র আংশিক সংশোধন করে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে। এরপর ১২ আগস্ট প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যার মধ্যে ৬২ জন নারী। পদভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নারী প্রার্থীর মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে ১ জন, এবং এজিএস পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০,৮৭৩ এবং ছাত্রী ১৮,৯০২ জন। বিকেল চারটার মধ্যে কেন্দ্রের সীমানায় থাকা ভোটাররাও ভোট দিতে পারবেন।

নির্বাচনে পাঁচটি প্যানেল প্রভাব বিস্তার করতে পারে, ছাত্রদল-নেতৃত্বাধীন প্যানেল, ছাত্রশিবির-নেতৃত্বাধীন প্যানেল, ছাত্রসংসদ-নেতৃত্বাধীন প্যানেল, উমামা ফাতেমা-নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র প্যানেল এবং শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি-নেতৃত্বাধীন বামপন্থী প্যানেল।

HN
আরও পড়ুন