বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘আল-কোরআন পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান। নবিজি (সা.)-এর দিকনির্দেশনায় সেই সময়েও নারীর অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। বর্ণ ও জাতিগত বৈষম্য নিরসন, উত্তরাধিকার আইন এবং নারী শিক্ষার ক্ষেত্রেই আধুনিকতার ছোঁয়া বিদ্যমান ছিল।’
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত মঞ্চে ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সিরাতে রাসুল (সা.) এক কালজয়ী আদর্শ। নবিজি (সা.)-এর আদর্শের আলোকে পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল, জাহিলিয়াতের অন্ধকার দূর হয়েছিল। কিন্তু আজকের যুগে বাহ্যিক আচার-আচরণে আমরা যত মনোযোগী, অন্তরের জীবনাচরণে সিরাত ও সুন্নাতের প্রভাব ততটা প্রতিফলিত হচ্ছে না।’ এ সময় তিনি সবাইকে সীরাত ও সুন্নাতকে জীবনে কার্যকর করার আহ্বান জানান।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘আজকের আয়োজন কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি এক মহৎ শিক্ষামূলক উদ্যোগ। মহানবি (সা.) বলেছেন, ‘জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরজ। তাই জ্ঞানচর্চার মাধ্যমেই আমাদের জীবন সমৃদ্ধ হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান এবং জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন। এছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি আব্দুল মুনয়িম খাঁন।
দিনব্যাপী নানা আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদযাপন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং বাদ-জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
