ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ট্রেনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তিনি কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তার স্বামী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে সাক্ষী করেছেন।
আটকরা হলেন- তানভীর হোসেন নাজিম, ফাহিম হাসান অনিক, তাহমনি আহাম্মেদ, মো. নাঈম উদ্দিন এবং মো. ফাহিম হোসেন। অভিযোগে আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ রয়েছে- যাদের মধ্যে তাহামিন আহাম্মেদ, নাঈম উদ্দিন, ফাহিম হোসেন এবং নাজমুল রয়েছে। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে ওই শিক্ষার্থী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনটি মনতলা স্টেশনে পৌঁছলে কয়েকজন যুবক তাকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করেন।
প্রতিবাদ জানালে তারা আরও অশালীন ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দেন। বিকাল ৫টার দিকে দুর্গাপুর ইউনিয়নের শাসনগাছা রেলস্টেশনে, অভিযুক্ত তানভীর হোসেন নাজিম অন্যদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, ট্রেনে উঠার সময় কয়েকজন ছেলে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। বাধা দিলে তারা উলটো হুমকি দেন এবং আমার স্ত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, রোববার এক নারী শিক্ষার্থীকে ইভটিজিংয়ের খবর পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আমরা পাঁচজনকে আটক করি। ওই ঘটনাটি ট্রেন সংক্রান্ত, তাই অভিযোগটি লাকসাম রেলওয়ে থানায় রেফার করেছি। বিষয়টি তারা দেখবে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইভটিজিং সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। সাক্ষী ও অভিযুক্তদের বক্তব্যের ভিত্তিতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিছু নারী সহকর্মী ক্যারিয়ার গড়েছেন ব্যক্তিগত সম্পর্কে: রুনা খান 