ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সচিবালয়ে সাত কলেজের ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৬ পিএম

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত চূড়ান্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবিতে সচিবালয়ে আলোচনায় বসেছেন সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা। 

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- মো. নাঈম হাওলাদার, তানজিমুল আবিদ, রবিন, রিয়াজ উদ্দিন, ফাহাদ, ফরহাদ, পাভেল, ইউসা বিন আলম, মারুফ, ইউনুস, জাফরীন, ইমু, স্মৃতি, সামান্তা, আসফিয়া, রবিউল চোকদার, সৈকত, সাবরিনা, আওলাদ, রবিউল্লাহ, সুমি, সানি, মুত্তাকী ও মাসুম।

সচিবালয়ে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিনিধিরা বলেন, তাদের মূল দাবি দ্রুত আইনটি চূড়ান্ত করে অধ্যাদেশ জারি করা, যাতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর অনিশ্চয়তা না থাকে। পাশাপাশি, প্রশাসনিক কাঠামো ও শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে পরিষ্কার দিকনির্দেশনা চান তারা।

প্রতিনিধি দলের সদস্য মো. নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য সংঘাত নয়, বরং সমাধান। আমরা চাই সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ হোক, কবে অধ্যাদেশ জারি হবে।’

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সুমি আক্তার বলেন, ‘দিনের পর দিন আমরা রাস্তায় বসে আছি, একটা প্রতিশ্রুতির আশায়। সাত কলেজকে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আনার ঘোষণা অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তার বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই এই আন্দোলন শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করুক, বরং দ্রুত একটি ইতিবাচক ফল নিয়ে আসুক। শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের কথা শুনবেন এই আশাতেই আমরা বৈঠকে যাচ্ছি।’

এর আগে, সকাল থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। আন্দোলনকারীরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

DR/FJ
আরও পড়ুন