ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

এইচএসসিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বোর্ডের সামনে গণজমায়েত আজ

আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৫ এএম

সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে নজিরবিহীন ধসের ঘটনায় আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন অকৃতকার্য ও আশানুরূপ ফল না পাওয়া শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রধান চার দফা দাবিতে আজ রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে গণজমায়েত করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে।

চলতি বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৫৮.৮৩ শতাংশ, যা গত ২১ বছরে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০০৪ সালে পাশের হার ছিল ৪৭.৭৪ শতাংশ। শুধু পাশের হার নয়, জিপিএ-৫ প্রাপ্তিসহ ফলের সব সূচকেই এবার ব্যাপক ধস নেমেছে। এই ফল বিপর্যয়ের পরই শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন। তবে আন্দোলনের মূল আয়োজকদের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত প্রধান চার দফা দাবি হলো, 
১. সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা: ফল খারাপ হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুত সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার আয়োজন করা। 
২. খাতা পুনর্মূল্যায়ন: বোর্ড চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে কেবল খাতা পূনর্নিরীক্ষণ নয়; বরং খাতার পূর্ণাঙ্গ পুনর্মূল্যায়ন করা এবং ১০০ নম্বরের সকল অংশ (এমসিকিউ, সিকিউ, প্র্যাকটিক্যাল) রিচেক করা। 
৩. নম্বর বিভাজন প্রদর্শন: ফেল করা বিষয়ের নম্বর সকল অংশসহ (এমসিকিউ, সিকিউ, প্র্যাকটিক্যাল) আলাদাভাবে মার্কশিটে প্রদর্শন করা। 
৪. সম্মিলিত পাশের ব্যবস্থা: সিকিউ ও এমসিকিউ মিলিয়ে সম্মিলিতভাবে পাশের ব্যবস্থা চালু করা।

ফল বিপর্যয়ের চিত্র: ২০২৫ সালের এইচএসসির ফলে অধিকাংশ বোর্ডেই পাশের হার রেকর্ড পরিমাণে কমেছে। ১১টি বোর্ডে গড় পাশের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ কম।

সিলেট বোর্ডে পাশের হার ৫১.৮৬ শতাংশ, যা গত বারের চেয়ে প্রায় ২৪ শতাংশ কম। কুমিল্লা বোর্ডে সবচেয়ে কম পাশের হার দেখা গেছে, ৪৮.৮৬ শতাংশ। কারিগরি বোর্ডে ফল ধসের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এ বোর্ডে পাশের হার কমেছে ২৬ শতাংশেরও বেশি। গ্রুপভিত্তিক ফলে দেখা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৭৮.৭২ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষায় ৫৫.৫৮ শতাংশ এবং মানবিকে সবচেয়ে কম ৪৮.২৩ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এই অস্বাভাবিক ফল বিপর্যয়ের কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে, যার প্রতিকার চেয়েই তারা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।

AHA
আরও পড়ুন