ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ফুসফুস ক্যানসার নিয়ে ভুল ধারণায় বাড়ছে ঝুঁকি

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম

বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিবছর অনেক মানুষ এই রোগে প্রাণ হারাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগটির ক্ষেত্রে বাঁচার প্রধান উপায় হলো যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা। কিন্তু বেশ কিছু ভুল ধারণা রোগ শনাক্তে দেরি করায় এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রাণহানির ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে উঠে এসেছে ফুসফুস ক্যানসার সম্পর্কে কয়েকটি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা।

ফুসফুস ক্যানসার সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা চলুন জেনে নিই- 

ফুসফুসের ক্যানসার শুধু ধূমপায়ীদের হয়

ধূমপান ফুসফুস ক্যানসারের একটি বড় কারণ হলেও এটি একমাত্র কারণ নয়। প্রায় ২০ শতাংশ ফুসফুস ক্যানসার নন-স্মোকারদের মধ্যে দেখা যায়। দীর্ঘদিনের বায়ুদূষণ, অ্যাসবেস্টস বা রাডনে দীর্ঘমেয়াদি এক্সপোজার, পারিবারিক ইতিহাস ইত্যাদি কারণেও এই ক্যানসার হতে পারে। তাই ধূমপান না করলেও নিয়মিত স্ক্রিনিং জরুরি। 

ফুসফুস ক্যানসারের উপসর্গ নেই

প্রাথমিক পর্যায় সাধারণত রোগটি নীরব থাকে। তাই বলে একদমই কোনো উপসর্গ নেই এই ধারণা ঠিক নয়। লম্বা সময় ধরে থাকা কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অস্বাভাবিক ক্লান্তি এগুলোকে হালকা সমস্যা মনে করে অনেকে উপেক্ষা করেন। কিন্তু এগুলোও ফুসফুস ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে। লো-ডোজ সিটি স্ক্যান করলে প্রাথমিক পর্যায়েই টিউমার শনাক্ত হতে পারে।

দীর্ঘদিনের কাশি মানেই সংক্রমণ

বেশিরভাগ কাশিই ক্ষতিকর হয় না। টানা তিন সপ্তাহের বেশি যদি কাশি স্থায়ী হয়, বিশেষত কাশির সঙ্গে রক্ত দেখা দেয় কিংবা অকারণে ওজন কমে যায় তাহলে এড়িয়ে যাবেন না। অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করলে অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে। ব্রঙ্কোস্কপি সিটি স্ক্যান এমন ক্যানসারও শনাক্ত করতে পারে যা সাধারণ এক্স-রেতে ধরা পড়ে না।

ফুসফুস ক্যানসারের কার্যকর চিকিৎসা নেই

এই ধারণাও ভুল। আধুনিক চিকিৎসা বিপুলভাবে এগিয়েছে। এখন টার্গেটেড থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি এবং প্রিসিশন মেডিসিন ইত্যাদির মাধ্যমে ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসা করা হয়। মিনিমালি ইনভেসিভ ও রোবটিক সার্জারির মাধ্যমে দ্রুত আরোগ্য পাওয়া যায়। 

শুধু বয়স্কদেরই ফুসফুস ক্যানসার হয়

বয়স বাড়লে ঝুঁকি বাড়ে এ কথা ঠিক। কিন্তু তরুণরাও নিরাপদ নয়। জেনেটিক প্রবণতা, দূষণ এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক এক্সপোজার তরুণদের মধ্যেও রোগটি সৃষ্টি করতে পারে। এই ঝুঁকিগুলো জানা থাকলে তরুণরাও সময়মতো স্ক্রিনিং করাতে পারেন।

NB/FJ
আরও পড়ুন