বলিউডের ভাইজান সালমান খান। গ্যাংস্টারদের কুনজরে থাকলেও, তিনি একেবারেই বলিপাড়ার বিন্দাস নায়ক। তিনিই সিকান্দার। তিনিই টাইগার। হ্যাঁ, সালমান এমনই। বড় পর্দার অ্যাকশন অবতারে দেখা মিললেও, সালমান কিন্তু রসিক মানুষ।
আর তার প্রমাণ ২০১৯ সালের এক টক শো। যেখানে বলিউডের প্রথম শ্রেণির অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফকে নিয়ে এমন রসিকতা করেন, যে ক্যাটরিনাও খোদ হতবাক।

ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। ২০১৯ সালে ভারত ছবির প্রোমোশনে একটি টক শোয়ে হাজির হয়েছিলেন সালমান। পাশে ছিলেন ক্যাটরিনাও। সেখানে সঞ্চালক সালমানকে জিজ্ঞাসা করেন, যদি ক্যাটরিনা অভিনেত্রী না হতেন, তাহলে তাকে কোন পেশায় মানাত? সেই সঙ্গে সঞ্চালক ইঙ্গিত দেন, তার ছবি প্রযোজনার শখ রয়েছে।
সঞ্চালকের প্রশ্ন শেষ হতেই টুক করে সালমান বলে ফেললেন, সে বিয়ে করত এবং একের পর এক সন্তান জন্ম দিত! এটাই ওর পক্ষে সবচেয়ে ভালো কাজ। ক্যাটরিনা অবশ্য সালমানকে শুধরে দিয়ে বলেন, সঞ্চালক পেশার কথা বলছেন, যেমন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার!
নায়িকার এই কথাও দমাতে পারেননি সালমানকে। ফস করে সাল্লু বলে উঠলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজই হলো মায়ের। সংসার করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেশা। যার কোনো পারিশ্রমিক হয় না। সালমানের এমন কথা শুনে চোখ ছল ছল করে উঠেছিল সবার।

২০০৫ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিঁউ কিয়া’ ছবিতে সালমানের সঙ্গে প্রথম জুটি বাঁধেন ক্যাটরিনা। এরপর একাধিক ছবি ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও কাজের অভাব ঘটেনি তার। সৌজন্যে বলিউডের ‘সুলতান’। ক্যাটরিনা এখন ভিকি কৌশলের ঘরনি। তা সত্ত্বেও সালমানের সঙ্গে বন্ধুত্বে চিড় ধরেনি এতটুকুও।
সালমানের সঙ্গে ক্যাটরিনার বিচ্ছেদ হয় ২০১২ সালে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরই ‘এক থা টাইগার’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন তারা। এরপরও একাধিক কাজ করেছেন। যদিও ক্যাটরিনার বিয়ের অনুষ্ঠানে যাননি সালমান।
