ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হলিউডে ভীতি বাড়াচ্ছে এআই প্রযুক্তি

আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত অগ্রগতি নিয়ে এবার উদ্বেগ দেখা দিয়েছে হলিউডে। বিশেষ করে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির চিত্রনাট্য পাঠক বা ‘স্ক্রিপ্ট রিডার’রা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি ভয়ের মুখে। তাদের আশঙ্কা খুব শিগগিরই এআই তাদের কাজটি ছিনিয়ে নিতে পারে।

আন্তর্জাতিক বিনোদনভিত্তিক গণমাধ্যম ভ্যারাইটি জানিয়েছে, হলিউডে এখন পরীক্ষামূলকভাবে দেখা হচ্ছে গল্প বিশ্লেষণ ও পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে কে বেশি দক্ষ, মানুষ না এআই।

চলচ্চিত্র প্রযোজক মরিস চ্যাপডেলেন জানান, তার ডেস্কে সব সময় জমে থাকে চিত্রনাট্যের স্তূপ। সপ্তাহে তিনি তিনটি স্ক্রিপ্ট পড়তে পারেন, বাকিগুলো পাঠিয়ে দেন ইন্টার্নদের কাছে। কিন্তু এত কাজের চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়েছিল তার জন্য।

পরে একটি ইভেন্টে এই প্রযোজকের বন্ধুরা তাকে কাজের চাপ সামলাতে এআই ব্যবহারের পরামর্শ দেন। চ্যাপডেলেন শুরুতে ইতস্তত করেন। বলেন, আমি এআই থেকে কটু দূরে থাকতে চাই... এর কিছু দিক আমাকে সত্যি ভয় পাইয়ে দেয়।

কিন্তু এই প্রযোজক ভয় পেলেও শেষমেশ ‘গ্রিনলাইট কভারেজ’ নামে একটি এআই পরিষেবা ব্যবহার শুরু করেন। যা এখন তার বড় বড় স্ক্রিপ্টগুলো খুব দ্রুত পড়ে সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, গল্প, চরিত্রগুলোর পরিবর্তন, গল্পের গতি এবং সংলাপ; সবকিছুকে ১ থেকে ১০-এর মধ্যে নম্বর দেয়। শুধু তাই নয়, স্ক্রিপ্টটি তৈরি করা উচিত কিনা, সেই চূড়ান্ত রায়ও দিয়ে দেয়।

এরপর চ্যাপডেলেন বুঝতে পারেন, এই এআই মানুষের দেওয়া বা তার নিজের দেওয়া মতামতের চেয়েও বেশি কার্যকরী। এর ফলে তার স্ক্রিপ্ট পড়ার গতি দ্বিগুণ হয়ে যায়। বলেন, ‘এটা সময় বাঁচানোর অসাধারণ এক উপায়। আর এআই দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে।’

ইতোমধ্যে হলিউডে এআই ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণে। হলিউডের অনেক চিত্রনাট্যকাররা এখন তাদের লেখার খসড়া কেমন হলো, তা জানার জন্য ‘গ্রিনলাইট’ এর মতো এআই টুল ব্যবহার করছেন। তাই হলিউডের স্ক্রিপ্ট রিডারদের মনে এখন কাজ হারানোর শঙ্কা বিরাজ করছে।

এদিকে শুধু চিত্রনাট্য বিশ্লেষণ নয়, প্রোডাকশনের বহু কাজে এআই ব্যবহার হচ্ছে। যেমন, চলচ্চিত্রের ভিএফএক্স বা ভিজ্যুয়াল এফেক্টস আরও দ্রুত ও কম খরচে তৈরি করা, অভিনেতাদের বয়স কমাতে  অত্যাধুনিক সফটওয়্যার ব্যবহার করা, এমনকি কৃত্রিম অভিনেতা বা ব্যাকগ্রাউন্ড চরিত্র তৈরি করা, ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল ও কম্পোজিশনের জন্য রিয়েল-টাইমে পরামর্শ দেওয়া; এই সবই এখন এআই-এর মাধ্যমে করা হচ্ছে। এতে প্রমাণ হচ্ছে, হলিউডের মূল কাজের অংশ হয়ে উঠেছে এআই।

NB/AHA
আরও পড়ুন