ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নিজ শরীরে আগুন দিয়ে সংগীতশিল্পীর আত্মহত্যা

আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

নেপালের সংগীত জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কারণে পুড়ে নির্মমভাবে মারা গেছেন শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী নীতু পাউডেল। গত ২৪ অক্টোবর সকালে কাঠমান্ডুর কীর্তিপুর হাসপাতালের নেপাল ক্লেফট অ্যান্ড বার্ন সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে এই গায়িকার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩০ বছর।

সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট এবং বোল নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে, সহশিল্পী ও দীর্ঘদিনের সঙ্গী গায়ক বাবুল গিরি এর সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্বের কারণেই গায়িকা নীতু নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।

কাঠমান্ডু জেলা পুলিশ রেঞ্জের পুলিশ সুপার পবক কুমার ভট্টরাই জানিয়েছেন, নীতু পাউডেল নিজ শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে কীর্তিপুর বার্ন হাসপাতালে নেওয়া হলেও, চিকিৎসকদের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, মর্মান্তিক এই ঘটনার আগে বাবুল গিরির সঙ্গে নীতুর তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। এ ঘটনার কিছু সময় আগে তরুণী গায়িকা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি উদ্বেগজনক বার্তা দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি মানসিক যন্ত্রণার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

বাবুল গিরি এবং নীতু পাউডেল দীর্ঘ আট বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন। জানা যায়, গায়ক হিসেবে বাবুল গিরিকে প্রতিষ্ঠিত করতে নীতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতেন এবং স্টুডিওর কাছে রেস্টুরেন্ট পরিচালনায়ও সহযোগিতা করেছিলেন।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং স্টুডিওতেই সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়শই কথা চলতে থাকত।

নীতুর এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে নেপালী সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে গভীর শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় গায়ক বাবুল গিরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল পুলিশ।

পরে নীতুর পরিবারের পক্ষ থেকে গায়ক বাবুলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মামলা দায়ের করেছে এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত বর্তমানে চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

NB/AHA
আরও পড়ুন