তাপমাত্রার পারদ গলে তীব্র শীত ঝরছে রাতভর। বেলা গড়ালে উত্তরের হিমবায়ু বাড়াতে থাকে শীতের মাত্রা। রাত বাড়তে থাকলে তীব্র হয়ে উঠে শীত। তাপমাত্রা নেমে আসে যেন জিরোতে! এমনই হিমশীতলে দুর্ভোগে উত্তরাঞ্চলের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ের আপামর মানুষ।
অঞ্চলটিতে গত ৫ দিন ধরে তৃতীয় দফায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদে তাপমাত্রা বাড়তে থাকলেও হারিয়ে যায় শীত।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এই হিমাঞ্চল পঞ্চগড়ে। এর আগে, ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ৬দিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়েছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, পৌষে দিনের বেলায় গরম। কিন্তু রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা। সন্ধ্যার পর থেকে কনকনে শীতের মাত্রাটা বাড়তে থাকে। উপায়ন্তর না পেয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা কমানোর চেষ্টা করি।
শীতের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, শনিবারও তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে। আজসহ গত চারদিন ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় এ অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা