ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ের যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম

বিয়ে মানেই কেবল ভালোবাসা নয়- এটি জীবনের একটি নতুন অধ্যায়, যেখানে দুটি মানুষ কেবল একে অপরকে নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও পারিবারিক জীবনকেও গড়ে তোলেন। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আগে নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা ও সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

বর্তমানে অনেক চিকিৎসকই বিয়ের আগে কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। একে বলা হয় বিয়ের পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য পরীক্ষা।

এই পরীক্ষা কেবল দাম্পত্য জীবনের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নেই, বিয়ের আগে কোন কোন শারীরিক পরীক্ষা করাটা একদমই ভুলে গেলে চলবে না:

১. রক্তের গ্রুপ ও Rh ফ্যাক্টর

আপনার এবং আপনার সঙ্গীর রক্তের গ্রুপ ও Rh ফ্যাক্টর জানা খুবই জরুরি। ভবিষ্যতের সন্তান জন্মের সময় জটিলতা এড়াতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। দুই জনই যদি বাহক হন, তবে সন্তানের মধ্যে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আগে থেকেই পরীক্ষা করে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

৩. HIV, হেপাটাইটিস বি ও সি

HIV, হেপাটাইটিস বি ও সি, সিফিলিসসহ অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ অনেক সময় লক্ষণ ছাড়া থাকে। তাই ভবিষ্যতের নিরাপদ ও সুস্থ সম্পর্কের জন্য এই পরীক্ষাগুলো করা আবশ্যক।

৪. ডায়াবেটিস ও হরমোন টেস্ট

পরিবার পরিকল্পনার আগে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড কিংবা হরমোন সংক্রান্ত সমস্যা আছে কি না তা জেনে নেয়া ভালো। নারীদের ক্ষেত্রে PCOS বা অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যাও বিবেচনায় রাখা উচিত।

৫. ফার্টিলিটি বা প্রজনন ক্ষমতা পরীক্ষা

যারা বিয়ের পরপরই সন্তান নিতে চান, তাদের জন্য এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট এবং নারীর ওভারিয়ান রিজার্ভ মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

৬. জেনেটিক ডিসঅর্ডার স্ক্রিনিং

পরিবারে যদি বংশগত কোনো রোগের ইতিহাস থাকে, তবে সে অনুযায়ী জেনেটিক স্ক্রিনিং করিয়ে নেয়া উচিত।

৭. মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন

শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতাও একে অপরের সুখী দাম্পত্য জীবনের অন্যতম চাবিকাঠি। প্রয়োজন হলে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়াও দোষের কিছু নয়।

RK/AHA
আরও পড়ুন