কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়টি স্পর্শকাতর। এখানে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বৈততা লক্ষ করা গেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় সেবার সমন্বয় করতে চায় সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায়) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান।
স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আইন, নতুন জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি, জাতীয় ওষুধ নীতি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত সংস্কার বিষয়ে স্বাস্থ্য খাতবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও সরকারের অবস্থান কী বা সরকার কী করতে যাচ্ছে, তা জানা-বোঝার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সায়েদুর রহমান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়টি সংবেদনশীল। কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকায় সেবার দ্বৈততা আছে। একটি পরিবারে স্বাস্থ্যের কর্মী একবার সেবা দিতে যাচ্ছেন। একই পরিবারে আবার পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মী সেবা দিতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে আছে সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার), তার কাজ মূলত ওষুধ বিতরণ করা। এই তিন পক্ষের সেবাদানের বিষয়টি সমন্বয় করার কথা ভাবছে সরকার, যেন একই কাজ দুজন না করেন।
স্বাস্থ্য খাতের জনবল সমস্যা, শিক্ষা সমস্যা, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার সমস্যা—এসব বিষয়ে সরকার কী করছে বা ভবিষ্যতে কী করা সম্ভব, সমস্যাগুলো কোথায়, তার বিশদ বর্ণনা দেন সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা একটি দলীয় কাজ। এখানে চিকিৎসকেরা ম্যারাডোনার মতো। অর্থাৎ তাঁরাই নেতৃত্বদানকারী শক্তি। তবে সাধারণ মানুষের ধারণা, ওষুধ কোম্পানি বা রোগনির্ণয় কেন্দ্রের সঙ্গে চিকিৎসকদের অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তাঁদের অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও স্বাস্থ্য খাতবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ডাক্তারি অনন্য পেশা। ভালো মানুষ না হলে একজন ভালো ডাক্তার হওয়া যায় না।
