পর্যাপ্ত পানি পান রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, বিশেষত যাদের ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিস রয়েছে। যদিও পানি খাওয়া সরাসরি রক্তে গ্লুকোজ কমায় না, তবে এটি দেহকে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সহায়ক- যা উচ্চ রক্তচাপের (হাইপারগ্লাইসেমিয়া) একটি সাধারণ পরিণতি।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন বেশি পানি পান করেন, তাদের উপবাসকালীন রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও তুলনামূলকভাবে কম। বিপরীতে, যারা পানিশূন্যতায় ভোগেন, তাদের হাইপারগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে প্রচুর প্রস্রাব হতে পারে, যা আবার দেহে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি চক্র তৈরি করে, যা স্বাস্থ্যকে আরও খারাপ করে তোলে। যথাযথ পরিমাণে পানি পান করলে দেহ সহজে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং বিপাকীয় ভারসাম্য রক্ষা করে।
হাজার হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর পরিচালিত এক বড় গবেষণায় দেখা যায়, যেসব অংশগ্রহণকারী দিনে অন্তত ১ লিটার পানি পান করতেন, তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম ছিল, যাদের পানি পানের পরিমাণ ছিল দিনে মাত্র অর্ধ লিটারেরও কম।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনো খাবার বা পানীয়ই হঠাৎ রক্তে শর্করা কমিয়ে দিতে পারে না, তবে কিছু জীবনযাপনের অভ্যাস যেমন:
>পর্যাপ্ত পানি পান করা
>নিয়মিত ব্যায়াম করা
>ভালো ঘুম নিশ্চিত করা
>ফাইবারযুক্ত ও প্রাকৃতিক খাবার খাওয়া
এসব অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
