বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে শুরু হতে যাচ্ছে টাইফয়েড প্রতিরোধে ইনজেকটেবল টিকাদান কর্মসূচি। আগামী রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে সারা দেশের ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে দেওয়া হবে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা।
সন্তানদের এই টিকা দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের আগে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে। ১৭ সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধনের পর, জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে।
টাইফয়েড টিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ প্রশ্নের উত্তর
১️- টাইফয়েডে আক্রান্ত অবস্থায় টিকা নেওয়া যাবে কি?
না। জ্বর বা অসুস্থ অবস্থায় টিকা দেওয়া যাবে না। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিতে হবে।
২️- আগে টাইফয়েড টিকা নেওয়া থাকলে আবার নিতে হবে কি?
হ্যাঁ। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় বয়সসীমার মধ্যে থাকা সবাইকে এক ডোজ টিকা নিতে হবে, আগের টিকা থাকলেও।
৩️- স্কুলে নির্ধারিত দিনে অনুপস্থিত থাকলে?
ক্যাম্পেইন চলাকালে যেকোনো ইপিআই কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়া যাবে।
৪️- কমিউনিটি পর্যায়ে মিস করলে?
তাও সমস্যা নেই। ক্যাম্পেইনের সময় দেশের যেকোনো স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।
৫️- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে কি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনজেকশনস্থলে হালকা ব্যথা বা জ্বর হতে পারে। তবে বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা নেই।
টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা শিশুরা অনিরাপদ পানি ও খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারে। সময়মতো টিকা না দিলে এটি জটিল রূপ নিতে পারে এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
রোববার থেকে শিশু-কিশোরদের দেওয়া হবে টাইফয়েড টিকা