প্রতিদিনের জীবনে ছোটখাটো দুর্ঘটনা যেন নিত্যসঙ্গী কখনও কাটা-ছেঁড়া, কখনও পোকা-মাকড়ের কামড়, আবার কখনও হঠাৎ জ্বর কিংবা ফোস্কা পড়ে যাওয়া। এ ধরনের পরিস্থিতিতে তৎক্ষণাত চিকিৎসা পাওয়া না গেলে সমস্যার মাত্রা বাড়তে পারে।
তবে চাইলে ঘরেই অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় একটি কার্যকর ‘ফার্স্ট এইড বক্স’, যা হতে পারে জরুরি সময়ের সবচেয়ে বড় সহায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রত্যেকের ঘরেই একটি প্রাথমিক চিকিৎসার কিট থাকা জরুরি। এর জন্য আলাদা কোনো খরচের প্রয়োজন পড়ে না। পুরোনো কোনো আইসক্রিম বক্স কিংবা ছোট প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করেই তৈরি করে ফেলা যায় প্রয়োজনীয় জিনিসে ভরা ফার্স্ট এইড বক্স।

ঘরে বসেই তৈরি করতে চাইলে নিচের জিনিসগুলো রাখা যেতে পারে বক্সে
- একটি মাঝারি আকারের বক্স (প্লাস্টিকের হলে ভালো)
- এন্টিসেপটিক লিকুইড বা ক্রিম (যেমন: ডেটল, স্যাভলন, বেটাডিন)
- তুলা (ছোট একটি প্যাকেট)
- গজ প্যাড (এক রিম)
- ছোট কাঁচি (চিকিৎসার উপযোগী)
- সার্জিক্যাল টেপ
- ওয়ানটাইম ইউজ ব্যান্ডএইড
- ফরসেপ বা চিমটা (কাঁটা তোলার জন্য)
- ব্যথানাশক ওষুধ (যেমন: প্যারাসিটামল)
- বমি বন্ধের ওষুধ (যেমন: ওমিডন)
- ব্যথানাশক বাম বা জেল (মালিশের জন্য)
এই উপকরণগুলো বসবাস এলাকার কাছাকাছি ওষুধের দোকান, মেডিকেল শপ বা সুপার শপে খুব সহজেই পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলো আপনার ঘরেই থাকা জিনিসের মধ্যে পড়ে।
ফার্স্ট এইড কিট শুধু ঘরের নয়, ভ্রমণের সঙ্গী হিসেবেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দূরবর্তী স্থানে গিয়ে ছোটখাটো সমস্যা হলে স্থানীয় চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে থাকা একটি ফার্স্ট এইড বক্স তাৎক্ষণিক সাহায্য করতে পারে।
ছোটখাটো দুর্ঘটনায় যেন অনাকাঙ্ক্ষিত বড় বিপদ না ঘটে, সে জন্য জরুরি কিছু চিকিৎসা উপকরণ হাতের কাছে থাকা খুবই দরকার। অনেকেই দুর্ঘটনার পর দিশেহারা হয়ে যান এই ছোট উদ্যোগ আপনাকে সেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
অতিরিক্ত ওরস্যালাইন খাওয়ায় হতে পারে মারাত্মক বিপদ
যেসব খাবারে কমবে অ্যালার্জি