বাঙালি জীবনে বাংলা নববর্ষ সর্বজনীন উৎসবের আনন্দ নিয়ে হাজির হয়। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার উৎসব পয়লা বৈশাখ। এ উৎসবকে ঘিরে আয়োজনের কমতি নেই বাঙালির। বিশেষত পয়লা বৈশাখের আয়োজন বাঙালির সর্বস্তরেই আপামর জনতার জীবনকেই রাঙিয়ে তোলে বিশেষভাবে ও ব্যঞ্জনায়। আমাদের ঘরে-বাইরে আর্থ সামাজিক সংস্কৃতিতে এর প্রভাব সুদূর বিস্তারী। এরকম উৎসব বাঙালির জীবনে দ্বিতীয়টি নেই।
রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরের মানুষের যেমন এই উৎসবের সঙ্গে গভীর যোগসূত্রতা, তেমনই সকল সম্প্রদায়ের, জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরাও শামিল হয় এ উৎসবে। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতেও পয়লা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষের ছোঁয়া সাড়ম্বরেই অনুভূত হয়। এরই ধারাবাহিকতাতেই যেন শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক ছোটকাগজ ‘বাংলানামা’ পয়লা বৈশাখের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে।
হোসেন শহীদ মজনুর সম্পাদনায় বাংলানামার এ সংখ্যায় নববর্ষ নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন ড. রকিবুল হাসান, ড. কাজল রশীদ শাহীন, ড. মো. আবুল হোসেন, পশ্চিমবঙ্গের লেখক সুরঞ্জীত গাইন, তাসনীম জামান এনজেল। কলেবরে ছোটো বাংলানামা বেশ বড় কাজ করেছে এ সংখ্যায়। বিশেষত প্রবন্ধকার নির্বাচনে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। প্রত্যেকের লেখায় গুরুত্বসহকারে আলোচিত হয়েছে আমাদের সর্বজনীন এ উৎসবের আদিগন্ত। এ সংখ্যায় অণুগল্প লিখেছেন জোলেখা আক্তার জিনিয়া, সালেহা ফেরদৌস, অপু দেবনাথ, শাহানাজ মিজান ও শামিমা সুলতানা। এ ছাড়াও কবিতা লিখেছেন কবীর আলমগীর, খোদেজা মাহবুব আরা, মো. আবুল হোসেন, সেলিম শাহি, সুমন রেজা, স্বপ্নীল সামছ, রিপতি বিশ্বাস সবুজ, সেলিম রেজা ও হোসেন শহীদ মজনু। প্রবন্ধ-নিবন্ধ, অণুগল্প কিংবা কবিতায় বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে বাংলা নববর্ষ তথা বাঙালির জীবনের পয়লা বৈশাখের অবদান। বিষয় নির্বাচন ও বিন্যাসে নবীন-প্রবীণের লেখায় সমৃদ্ধ এ সংখ্যাটির প্রচ্ছদ করেছেন সূর্য শিশির। ৮৮ পৃষ্ঠার এ ছোটকাগজের মুদ্রণ ও অঙ্গসৌষ্ঠবও আকর্ষণীয়। বাংলানামার এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে এটাই প্রত্যাশা।
বাংলানামা ॥ নবম বর্ষ ॥ তৃতীয় সংখ্যা ॥ বৈশাখ ১৪৩২ ॥ এপ্রিল-মে-জুন ২০২৫ ॥ শুভেচ্ছা মূল্য ১৫০ টাকা।
