কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভোরের কাগজ পত্রিকা বন্ধ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিএফইউজে'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন ও মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী ও ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ভোরের কাগজ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে বিগত বছরগুলোয় সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের ওয়েজবোর্ডের ন্যুনতম সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়নি। বরং প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত সংবাদ কর্মীরা তাদের প্রাপ্য বেতন-ভাতার দাবি জানালে তাদের চাকরিচ্যুতিসহ নানা হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছিল।
বিবৃতে বলা হয়, একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক-কর্মচারিরা নিয়মাতান্ত্রিক দাবি-দাওয়া জানিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে কর্তৃপক্ষ প্রধান কার্যালয়সহ পত্রিকাটি বন্ধ ঘোষণা করে।
ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষের এই হঠকারি সিদ্ধান্তে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অবিলম্বে পত্রিকার প্রকাশনা নোটিশ প্রত্যাহার করে কর্মরত সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতাসহ আইনানুগ সকল পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মালিকপক্ষকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করা হবে বিবৃতি উল্লেখ করা হয়েছে।
এ দিকে, গত ২০ জানুয়ারি কোনো পূর্বাস ছাড়াই ৩৩ বছরের পুরনো দৈনিক সংবাদপত্র ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পত্রিকাটির মালিক পক্ষ একটি নোটিশের মাধ্যমে বন্ধের ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, ‘ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যা আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।’
‘ভোরের কাগজ’ চালুর দাবিতে কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম