নিজেকে কতটুকু চিনেছেন বা নিজেকে কতটুকুই বা আবিষ্কার করতে পেরেছেন?
সত্যিটা হলো আপনি নিজে, নিজেকে আলাদা করে সময় দেননি। হয়তোবা আপনি সময় দিয়েছেন অন্যকে। হতে পারে আপনার অফিসে বা পরিবারকে বা বন্ধুকে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেকে আলাদা করে সময় দেওয়া, যা আপনাকে গভীরভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে জীবনে।
আত্মবিশ্বাস, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা - এই কথাগুলো আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু এর গভীরতা কতটুকু, তা কি আমরা ভেবে দেখেছি? নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা মানে শুধু এই নয় যে আমি কাজটি করতে পারি। এর অর্থ আরও ব্যাপক। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা মানে নিজের সক্ষমতা, নিজের মূল্য, নিজের সিদ্ধান্ত এবং নিজের পথচলার ওপর আস্থা রাখা।
মানুষ হিসেবে আমাদের সবার মধ্যেই কিছু না কিছু দুর্বলতা থাকে। ব্যর্থতা, হতাশা, সংশয়- এগুলো জীবনেরই অংশ। কিন্তু যখন আমরা নিজের ওপর বিশ্বাস হারাই, তখন এই দুর্বলতাগুলো আরও প্রকট হয়ে ওঠে। তখন মনে হয় যেন সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, আর কিছুই করার নেই। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
আসলে, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখাটাই হলো জীবনের মূলমন্ত্র। যা আপনাকে বারবার ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। যখন আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখি, তখন কোনো বাধাই আমাদের আটকাতে পারে না। আমরা ভুল থেকে শিখি, ব্যর্থতা থেকে উঠে দাঁড়াই এবং এগিয়ে চলি আমাদের লক্ষ্যের দিকে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখাটা একদিনে তৈরি হয় না। এজন্য প্রয়োজন নিরন্তর প্রচেষ্টা, ধৈর্য এবং ইতিবাচক মানসিকতা। প্রথমে ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করতে হয়। যখন আমরা ছোট কাজগুলোতে সফল হই, তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে বড় কাজগুলো করার সাহসও তৈরি হয়।
মনে রাখবেন, আপনি অনন্য/অনন্যা। আপনার মধ্যে বিশেষ কিছু প্রতিভা আছে, যা অন্য কারও মধ্যে নেই। সেই প্রতিভাগুলো খুঁজে বের করুন এবং কাজে লাগান।
পাখি যখন গাছের সরু ডালে বসে তখন তার আস্থা বা বিশ্বাস সরু ডালের উপর থাকে না, থাকে তার নিজের ডানার উপর। তাই অন্যের ওপর নয়, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, আর এগিয়ে চলুন আপনার স্বপ্নের দিকে।
তারিখ: সকাল ৯টা, ২৪ জুলাই ২০২৫
লেখা: একজন সৈনিকের ফেসবুক আইডি থেকে নেওয়া।
পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতন জরুরি