পাকিস্তানের জনপ্রিয় শিশু ভ্লগার মুহাম্মদ সিরাজ আবারও আলোচনায়। তবে এবার তার মনকাড়া ভিডিও কিংবা সাবলীল উপস্থাপনার জন্য নয়, বরং নিজের গ্রামের জরাজীর্ণ একটি স্কুলকে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করে।

সাম্প্রতিক সময়ে ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিওতে সিরাজ পুরোনো স্কুলটির দুরবস্থা তুলে ধরেন। সেখানে দেখা যায়, শিশুদের বসার জন্য নেই চেয়ার-টেবিল, নেই উপযুক্ত পড়াশোনার পরিবেশ, এমনকি শিক্ষকও ছিল না পর্যাপ্ত। তবে পরিবর্তিত দৃশ্যে ফুটে ওঠে নতুন রূপে গড়ে ওঠা স্কুল যেখানে রয়েছে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব, টেবিল-চেয়ার, বিদ্যুৎ, শৌচাগার, প্রধান শিক্ষকের অফিস, ক্যান্টিন, সোলার প্যানেল এবং শিশুদের খেলার মাঠসহ দোলনা।
স্কুল উন্নয়নের প্রসঙ্গে সিরাজ জানান, প্রথমে তিনি নিজস্ব ইউটিউব আয়ের সামান্য অর্থ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। এরপর বিদেশে থাকা দুই দাতা- ফওজিয়া জাকী ও তাঁর ভাগ্নি জেহরা জাইদি এগিয়ে আসেন। তাঁরা প্রয়াত ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাকীর স্মৃতিকে সম্মান জানাতে স্কুলটির সংস্কার ও নতুন ভবন নির্মাণে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করেন। এর ফলেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘জাকী একাডেমি’।

সিরাজ জানান, বর্তমানে শুধু স্কুল নয়, আশপাশের এলাকাও উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। দাতাদের সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে একটি বাঁধ, বসানো হয়েছে নিরাপদ পানির পাম্প, সংযোজন হয়েছে সৌর প্যানেল। এমনকি স্থানীয়দের জন্য চিকিৎসা সহায়তার অংশ হিসেবে দেওয়া হয়েছে ওষুধ ও একটি অ্যাম্বুলেন্স।
সিরাজ আরও বলেন, অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমি কী পেয়েছি এই হলো তার উত্তর-আমরা একটি ভাঙাচোরা স্কুলকে নতুন করে গড়ে তুলেছি। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ ফওজিয়া জাকীর প্রতি।

শিশু ইউটিউবার সিরাজ ও তাঁর পরিবারের এই উদ্যোগ প্রমাণ করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শুধু বিনোদনের জন্য নয়- সমাজ পরিবর্তন ও মানবিক উন্নয়নেরও শক্তিশালী হাতিয়ার।
ডাকসু নির্বাচনে কারা জিতবে, বলে দিলেন এনসিপি নেত্রী তাজনূভা
নতুন কুঁড়িতে আবেদন ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত