আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে 'নো হেলমেট নো ফুয়েল' নীতি পুরো দেশে বাস্তবায়ন করতে হবে।
মোটরসাইকেল 'আরেকটা উপদ্রব’ হিসেবে তীর্যক মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সিটিতে আমরা মোটরসাইকেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখানে হেলমেট ছাড়া সাধারণতঃ কাউকে দেখা যায় না। মোটরসাইকেলে যাত্রীও দুইজনই থাকেন। আমরা যে পলিসি নিয়েছিলাম এটা এখন মফস্বলে চালু করতে হবে। ডিসি এবং এসপিকে বলে দিতে হবে হেলমেট ছাড়া কাউকে মোটরসাইকেলের জন্য তেল (ডিজেল-অকটেন) দেয়া হবে না।’
বুধবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর বনানী সেতু ভবনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭ অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিনিয়ত কথা শুনতে হয় আমাকে। বিআরটি-এর চেয়ারম্যানকে কেউ কিছু বলে না। সব কথা শুনতে হয় আমাকে। ঈদের আগে ও পরে মর্মান্তিক কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। মন্ত্রী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে এটা কষ্ট দেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে ঢাকার মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, এগুলোর সুফল আমাদের পেতে হবে। যানজট ও দুর্ঘটনা কমাতে হবে। দুর্ঘটনা নিয়ে নানান কথা আছে। অন্যান্য দেশের হিসাব করেন, দেখেন সেসব দেশে কত দুর্ঘটনা ঘটে। সৌদি, আবুধাবিতে দুর্ঘটনা ঘটলে দেড়শ, পৌনে দুশ লোক মারা যায়। সেসব নিয়ে তো কোনো উচ্চবাচ্য নেই।’
‘আমাদের এখানে ক্যাজুয়ালটি বেশি হচ্ছে মোটরসাইকেল, ইজিবাইকের মতো গাড়ি চলাচল করছে বলে। একটা ইজিবাইকে আট থেকে দশজন থাকে। এই ইজিবাইকের সাথে বড় গাড়ির ধাক্কা লাগলে ইজিবাইকের সবাই মারা যায়,’ যোগ করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যানজট এবং দুর্ঘটনা কমিয়ে ফেলতে হবে। এই বছরের তুলনায় আগামী বছর আরো কম হবে, পরবর্তী বছর আরো আরও কম হবে- এটাই তো হওয়া উচিৎ। আর যদি না হয়, তাহলে আমরা এখানে কাজ করছি কেন?'
তিনি বলেন, 'আমাদের টিম ওয়ার্কের সফলতা কোথায়? এখানে এই করছেন, ওইখানে ডিজিলাইজড করেছেন। রেজাল্ট না পেলে করে কী লাভ?'
মন্ত্রী আরো বলেন, 'দেশের সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত এবং সমতল থেকে পাহাড়ে আজকে সুন্দর-সুন্দর রাস্তা। এতো রাস্তা হওয়ার পরেও কেন শৃঙ্খলা আসে না? শৃঙ্খলা না থাকলে এসবের রেজাল্ট আমরা পাবো না।'
