পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দ্বিতীয়বারের মতো রোববার (২৩ জুন) সকাল ১০টায় হাজির হওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। জানা গেছে, বেলা পৌনে ১টা পর্যন্ত তিনি সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যাননি।
তবে দুদকে হাজির হওয়ার জন্য বেনজীর আহমেদ নতুন করে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন কিনা তা সম্পর্কেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত ৫ জুন দুদক কমিশনার জহুরুল হক জানিয়েছিলেন বেনজীর আহমেদের সময় চেয়ে আবেদনের করেছেন। আইনে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় দেওয়ার ক্ষমতা তদন্ত কর্মকর্তার আছে। যে অনুসন্ধান করবে সে ১৫ দিন পর্যন্ত অ্যালাউ করতে পারবে, যদি সন্তুষ্ট হয়।
জাতীয় দৈনিকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এতে দাবি করা হয়, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, পাঁচ তারকা হোটেলের শেয়ার, গাজীপুর, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে।
এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের বিপুল অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুদকের কাছে আবেদন করেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। এর পরপরই বেনজীর আহমেদের বিপুল অবৈধ সম্পত্তির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান।
