ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

দেশেই আছেন মনিরুল, রাজি আত্মসমর্পনেও

আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০০ এএম

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতা-এমপি-মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা গাঢাকা দেন। 

এমনই খবর বের হয়, আলোচিত পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম ভারতে চলে গেছেন। তাকে নাকি দিল্লিতে একটি দোকানে দেখা গেছে। তবে সেই খবর মিথ্যা বললেন, খোদ মনিরুল নিজেই। রোববার (১৩ অক্টোবর) রমনা এলাকায় নিজের সরকারি বাসার সামনে থেকে ঘুরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন মনিরুল।

তিনি ভারতে চলে গেছেন বলে সাম্প্রতিক যে আলোচনা, তার উত্তরে মনিরুল বলেন, পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় কোথাও যেতে পারেননি, আছেন দেশেই। ৫ আগস্টের পর দেওয়া মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হলে আত্মসমর্পণেও রাজি আছেন।

সোমবার (১৪ আগস্ট) একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে এমনটি জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা।

পুলিশের ডিএমপি শাখায় প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করেছেন সাবেক এই কর্মকর্তা। ডিএমপির মুখপাত্র থাকায় গণমাধ্যমে ছিলেন আলোচিত মুখ। ২০২১ সালে হয়েছিলেন এসবি শাখার প্রধান। 

গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালা বদলের পর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হলেও আলোচিত কর্মকর্তাদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবস্থান জানান দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এরপর থেকে নিয়মিত ফেসবুকে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে তাকে।

আসলে তিনি কোথায় আছেন? 
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রোববার রমনার বাসায় ঢুকতে পারলাম না। রাস্তা থেকে শুধু দেখলাম। এ বাসায় অনেকদিন থেকেছি। অথচ বাসাতে ঢুকতে পারলাম না।

দিল্লির ছবির বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালে মার্চের দিকে মালদ্বীপ গিয়েছিলাম, পরে দিল্লিতে দুইদিন অবস্থান করেছিলাম। 

দেশে থাকার দাবি করলেও কেন আত্মসমর্পণ করছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে জঙ্গিরা। আমি যে কোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারি। এটা আমি ধারণা করছি। সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রফেশনাল তদন্তে সংশ্লিষ্টতা মিললে গ্রেপ্তার হতে রাজি। আত্মসমর্পণ করারও চিন্তা করে দেখব।

উল্লেখ্য, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম চলতি মাসের ৬ অক্টোবর দেশ থেকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পালিয়ে গেছেন এমন খবর প্রচার হয় গণমাধ্যমে। কোটা সংস্কার ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২৫ কোটি টাকা আনার অভিযোগ ওঠে পুলিশের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

SM/FI
আরও পড়ুন