ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

উপদেষ্টার ছাদ বাগানে লাউ, বেগুন, কাঁচা মরিচ

নিরাপদ খাদ্য এবং নির্মল বাতাসের জন্য ছাদ বাগানের প্রচার ও প্রসার ছাড়া উপায় নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বায়ু ও ধুলা দূষণ কমাতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

নিজের ছাদ বাগান করার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ‘আমার ছাদ বাগানে ২১টি লাউ ধরেছে। বেগুন, কাঁচা মরিচ অনেকদিন আমাকে কিনে খেতে হয়নি।’

রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিরসনে ছাদ বাগানের গুরুত্ব-বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহযোগিতায় সেমিনারের আয়োজন করে ‘ঢাকা শেকড়’। 

উপদেষ্টা জানান, নিরাপদ খাদ্য এবং নির্মল বাতাসের জন্য ছাদ বাগানের প্রচার ও প্রসার ছাড়া উপায় নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বায়ু ও ধুলা দূষণ কমাতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন, ‘ছাদ বাগান নিয়ে সেমিনারের আয়োজন আপাতত দৃষ্টিতে ছোট মনে হলেও এটি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ গাছ পরিবেশ দূষণ কমাতে সাহায্য করে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিরাপদ খাদ্যের জন্য এটি খুবই জরুরি। পাশাপাশি বারান্দা বাগানেও মানুষকে উৎসাহিত করা উচিত। আমাদের আশপাশে অধিকাংশ বাসায় ছাদে বাগানের সুযোগ থাকে না কিন্তু বারান্দা থাকে। সেখানে কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, বেগুন উৎপাদন করে চাহিদা মেটানো সম্ভব। আমার মনে হয়, আপনি যদি বারান্দায় চারটি টবো বেগুন আর কাঁচামরিচ লাগান, তাহলে এগুলো আর কিনে খেতে হবে না’। 

তিনি বলেন, ‘ভূমি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমার কাছে ফোন আসে। কারণ বিষয়টি পরিবেশের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং মানুষ আমাকে পরিবেশবাদী হিসেবে চিনে। কিন্তু বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন। ঢাকা শহরের সবগুলো ছাদে বাগান করার জন্য প্রধান এবং কর্মসূচি দিতে হবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরের ধূলা এবং বায়ু দূষণ এক বছরে কেউ কমাতে পারবেনা। এটি সম্ভবও নয়। ধুলা দূষণ কমানো হচ্ছে বায়ু দূষণ কমানোর অন্যতম।  আমাদের সড়কগুলো গাছ দিয়ে সবুজায়ন করা জরুরি। তাহলে ধুলা কিছুটা কমবে। আমরা আগামী বর্ষা থেকেই এই কার্যক্রম শুরু করব।’

NC
আরও পড়ুন