টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। লাখো মুসল্লি বাস, ট্রেন, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে গন্তব্যের দিকে পাড়ি দিচ্ছেন। মুসল্লিদের সুবিধার্থে প্রশাসন বিশেষ ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা করেছে, তবে লাখো মুসল্লির তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় অনেকেই পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছেন।
রেলওয়ে বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আখেরি মোনাজাতের পর পরি বিশেষ ট্রেনগুলো টঙ্গী স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছে। এর মধ্যে টঙ্গী-ঢাকা স্পেশাল-২ টঙ্গী স্টেশন ত্যাগ করেছে সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে, এরপর টঙ্গী-ঢাকা স্পেশাল-৩ ১০:৪০ মিনিটে এবং টঙ্গী-ঢাকা স্পেশাল-৪ টঙ্গী স্টেশন ছেড়ে গেছে বেলা ১১:০৭ মিনিটে। টঙ্গী-ময়মনসিংহ স্পেশাল-১ টঙ্গী স্টেশন ছাড়বে দুপুর ১২:২০ মিনিটে এবং সর্বশেষ টঙ্গী-টাঙ্গাইল স্পেশাল-২ টঙ্গী স্টেশন ছাড়বে দুপুর ১২:৫০ মিনিটে।

সরজমিনে টঙ্গী রেলওয়ে জংশন ও মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অনেক মুসল্লি ট্রেনের ছাদ ও ইঞ্জিনের সামনের অংশে চড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এছাড়া, সড়কপথে ট্রাক, পিকআপ ও অটোরিকশা যোগে মুসল্লিদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
ভোগান্তির মধ্যে বিভিন্ন মুসল্লি তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বগুড়া থেকে আসা মুসল্লি সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিশেষ বাসের ব্যবস্থা ভালো ছিল, কিন্তু ট্রেনের ভিড় অত্যন্ত ভীষণ। অনেকেই ছাদে উঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছেন, যা খুবই দুঃখজনক ও ভয়ের।”
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মুসল্লি রুহুল আমিন বলেন, এতো মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন ছিল না। বাস এবং ট্রেনগুলোতে প্রচণ্ড ভিড়। সড়কপথে গাড়িতে অনেক সময় লাগে, তাই বাধ্য হয়েই ট্রেনে ছাদেও উঠতে হচ্ছে।
টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রাকিবুল হাসান জানান, স্বাভাবিক সিডিউলে ১৪টি বিশেষ ট্রেনসহ অন্যান্য ট্রেন চলাচল করছে। আমরা আরও চেষ্টা করছি যাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সমস্যা কমে এবং ভোগান্তি যেন না হয়।
এদিকে, এবারের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাবলিগ জামাতের সাথীরা ইসলামের কাজে বেরিয়ে পড়বেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং বিদেশে। ৩ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব থেকে শুরু হবে প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্বের ইজতেমা।
আখেরি মোনাজাতের শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব