‘পরিবেশের সুরক্ষা আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে, যাতে প্রকৃতির ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে’, এমন মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। খবর বাসস’র।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতিকে পরাজিত করা যায় না। বরং তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবন গড়ে তুলতে হয়। পরিবর্তিত বিশ্বে আমাদের জীবনযাত্রাকে টেকসই করতে হবে।’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সেনাপ্রাঙ্গনে ইউনিভার্সিটি অব স্কলারস-এর প্রথম সমাবর্তনে কনভোকেশন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘শব্দ ও পলিথিন দূষণের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাজ করতে হবে। শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎ নয়, দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্বও নিতে হবে। শিক্ষার প্রকৃত মূল্যায়ন হয় তখনই, যখন তা সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কাজে লাগে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিলেই সমাজ বদলাবে না, বরং বাস্তব কর্মের মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে হবে। আপনাদের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে আগামী দিনের বাংলাদেশ। তাই নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবা নয়, সমাজ ও দেশকেও নিয়ে ভাবতে হবে। সেবাপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে, যেন সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়। এখন সময় এসেছে দেশের জন্য কাজ করার, সমাজের জন্য অবদান রাখার। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সমৃদ্ধ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’
সামাজিক পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই অন্যের ওপর দোষ চাপাই, কিন্তু নিজেরা বদলাতে চাই না। সরকার একা পরিবর্তন আনতে পারবে না, আমাদের প্রত্যেককেই পরিবর্তনের অংশ হতে হবে। আমাদের অবস্থান থেকে সচেতন হলেই একটি সুন্দর ও টেকসই বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।’
সমাবর্তনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এম. আমিনুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি সাবেক নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল (অব.) ফরিদ হাবিব, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. এনামুল বাসার এবং কনভোকেশন স্পিকার ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে. চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণের পাশাপাশি গোল্ড মেডালিস্টদের সনদ ও পদক প্রদান করা হয়।
