ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে ছোঁড়া ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে একটি বাংলাদেশি বিমান। বিমানটির দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন ইনাম তালুকদার এবং তার সঙ্গে কো-পাইলট ছিলেন রাফসান রিয়াদ।
শুক্রবার (১৩ জুন) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত ২টা ১৫ মিনিটে নির্ধারিত ফ্লাইট নিয়ে সৌদি আরবের বাংলাদেশি বিমানটি ভারত হয়ে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পেরিয়ে বাহরাইনের আকাশে যখন পৌঁছায়। তখন স্থানীয় সময় প্রায় ভোর ৫টা ছুঁই ছুঁই। ৪০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে তখন পৃথিবীর দৃশ্য মনোমুগ্ধকর দেখা যায়। কিন্তু সেদিন মুহূর্তেই সেই দৃশ্য বদলে যায়।
বাংলাদেশি বিমানটি তখন পারস্য উপসাগরের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ ইরানের আকাশে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি দেখতে পান ক্যাপ্টেন ইনাম। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন কোনো সাধারণ সামরিক মহড়া হবে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই তারা সারি সারি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে উঠতে দেখেন। যা তীব্র গতিতে পশ্চিম দিকে ছুটছিল। গত শুক্রবার ইসরায়েল তেহরানে হামলা চালানোর পর ইরানের পাল্টা হামলা ছিল এটি।
ক্যাপ্টেন ইনামের পাশে বসা কো-পাইলট রাফসানও ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান। তখন তারা দ্রুত ফ্লাইট রুট পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন।
ক্যাপ্টেন ইনাম দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানান, পাইলট হিসেবে সেদিন তাকে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কোনো কিছুই এর সঙ্গে তুলনা করার মতো নয়। তাদের উড়োজাহাজ থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে আকাশজুড়ে ধেয়ে যাচ্ছিল আগুনের গোলা। তারা দ্রুত উড়োজাহাজের গতিপথ পরিবর্তন করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেন এবং শেষ পর্যন্ত নিরাপদে রিয়াদে অবতরণ করেন।
বিমানবন্দরে নামার পর ফোন চালু করতেই শিরোনামগুলো চোখে আসতে শুরু করে: ‘ইসরায়েলে ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।’ ক্যাপ্টেন ইনাম বলেন, সেদিন সকালে তিনি শুধু একজন পাইলটই ছিলেন না, ছিলেন ইতিহাসেরও একজন সাক্ষী।
ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার হচ্ছেন ইমরান হায়দার
‘জুলাই শহীদ’ ও ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি দিয়ে অধ্যাদেশ জারি