স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পালাবদলের মুহূর্ত ২০২৪ সালের জুলাই। গত বছরের (৬ জুলাই) এই দিনটি অরাজনৈতিক কোটা আন্দোলনের টানা পঞ্চম দিনের অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। রাজধানীসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সরকারের তরফ থেকে কোনো সদুত্তর না আসায় শাহবাগের অবরোধ কর্মসূচি থেকে সারাদেশে আলোচিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। দুই শব্দের একদমই নতুন এই কর্মসূচি নিয়ে আগ্রহ জাগে জনমনে। সংহতি জানায় তিনটি ছাত্র সংগঠনও। সব মিলে ২০২৪ সালের এই দিনে উত্তপ্ত ছিল রাজপথ।
বিকেল ৩টা থেকে চাকরিপ্রত্যাশী ছাড়াও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে বের হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে অবরোধ করে শাহবাগ মোড়। এ সময় শুরুতে পুলিশ বাধা দেবার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীদের সাথে পেরে উঠছিল না।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে অবরোধের সমাপ্তি টেনে বলেন, আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা আমাদের বাধা দেবেন না। বাধা দিলে তা ভালো হবে না। আমাদের চাকরি না থাকলে আপনাদের চাকরিও থাকবে না। আমরা অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাই, এই আন্দোলন শুধু আমাদের আন্দোলন না, এই আন্দোলন আপনাদেরও আন্দোলন। আপনাদের সন্তান চাকরি না পেলে আপনাদেরও ভোগান্তি হবে। তাই আমাদের আন্দোলনে আপনারা সহযোগিতা করুন।
পরে তিনি ঘোষণা দেন, আগামীকাল বিকাল ৩টা থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। আগামীকাল সারা দেশে প্রতিটি মোড়, প্রতিটি সিগনাল ব্লক করা হবে। সারা দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি ব্লক কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানান।