রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মিথ্যাভাবে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস রোববার (১৩ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনে খুন হওয়া ব্যবসায়ী লাল চাঁদ, যিনি সোহাগ (৩৯) নামেও পরিচিত, তাকে হিন্দু হিসেবে মিথ্যাভাবে চিহ্নিত করেছে।
পোস্টে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে মো. সোহাগ, ওরফে লাল চাঁদ, একজন মুসলিম ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বাবার নাম মো. আইয়ুব আলী, তার মায়ের নাম আলেয়া বেগম। তিনি তার স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।
প্রেস উইং জানায়, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে একদল আততায়ী সোহাগকে নির্মমভাবে আক্রমণ করে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। তার মৃত্যুর পর তার শরীরে পাথর ছুড়ে মারা হয়।
পোস্টে বলা হয়, ভয়াবহ ঘটনার ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, শুক্রবার সোহাগকে ধলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তার নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় জানাজার নামাজের পর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
প্রেস উইং জানায়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে সোহাগকে হিন্দু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে প্রতিবেদনগুলোতে তার ধর্ম বা ব্যক্তিগত পরিচয় সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ক্রমাগত অসংখ্য মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার করছে বলেও ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস।
