সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারা দেশ প্রায় অচল হয়ে পড়ে। নজিরবিহীন সংঘর্ষ, বিক্ষোভ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিতে দেশজুড়ে রণক্ষেত্র তৈরি হয়। গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এদিন সারা দেশে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় প্রায় দেড় হাজার, যাদের অনেকে ছিল গুলিবিদ্ধ।
রাজধানীর বাইরে এদিন দেশের আরো অন্তত ৪৭টি জেলায় বিক্ষোভ, অবরোধ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পুলিশের হামলা-গুলি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। কোথাও কোথাও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের, আবার কোথাও সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য, পথচারী ও তৎকালীন সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী।
নিহতদের মধ্যে রাজধানীতে মারা যায় অন্তত ২৪ জন। শুধু উত্তরায় সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, নরসিংদী, রংপুর, সাভার, গাজীপুর, মাদারীপুর ও সিলেটেও নিহতের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) তথ্য অনুযায়ী, এদিন নিহতদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন শিক্ষার্থী।
১৮ জুলাই সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার পর রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। কোথাও কোথাও পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাজধানীর উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুর, মহাখালী, ধানমণ্ডি ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ চলতে থাকে।
