ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। আহতদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের চিকিৎসায় জরুরি প্রয়োজনে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত চেয়ে সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে রক্তদাতাদের অনুরোধ জানিয়েছিল বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। এতে সাড়া দিয়েছেন অসংখ্য রক্তদাতা। তবে আজ আর রক্তের প্রয়োজন নেই। এ কারণে আজ রক্তদাতাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের স্বজনদের থেকে উৎসুক জনতার ভিড় বেশি। মানুষের ভিড় ঠেলে আহত রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে পারছে না। অনেকে আবার স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে এসেছেন।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আশপাশে হাজারও জনতার ভিড়ে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। স্বেচ্ছাসেবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পাভেল আহমেদ হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দেন, ‘আজ আর ব্লাড লাগবে না। অহেতুক হাসপাতালের সামনে ভিড় করবেন না। দরকার হয় আপনারা ব্লাড ডোনেশনের জন্য নিবন্ধন করে চলে যান।’
তারপরও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে উৎসুক জনতা ও ডোনারদের ভিড়। অনেকে ফেসবুকে লাইভ করছেন। এসব উৎসুক জনতাকে সরাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
