আজ ৫ আগস্ট। ২০২৪ সালের এই দিনে ছাত্র সমাজসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। জনতার বজ্র কণ্ঠে কেঁপে উঠেছিল রাজপথ। ফ্যাসিস্ট শাসন ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষের ঢল নামে রাজধানীতে। সেই গণজাগরণের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ঐতিহাসিক এই দিনটিকে ঘিরে আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের মানিক মিয়া এভিনিউতে দিনব্যাপী নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সকাল ১১টা পর থেকে জায়গাটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে নানা বয়স, পেশা ও শ্রেণির মানুষ অংশ নেন এ আয়োজনে। বপলা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়। চারপাশে শোভা পাচ্ছিল জাতীয় পতাকা, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, মুখ ও হাতে আঁকা নানা প্রতিবাদী স্লোগান। কারো হাতে লেখা ছিল— ‘শেখ হাসিনা পালানোর দিন’, ‘ফ্যাসিস্ট পতনের বিজয়’, ‘৩৬ জুলাই’। কেউ বলছিলেন, এটি আমাদের নতুন বিজয় দিবস।
অনুষ্ঠানস্থলে প্রদর্শিত হয় শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত নানা নিপীড়নের প্রতিকৃতি ও চিত্রকর্ম। একাধিক প্রতিবাদী শিল্পী ও তরুণ চিত্রকর ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের’ অপকর্ম তুলে ধরেন তাদের রঙে-তুলিতে। আশপাশে অনেকেই নানা পসরা সাজিয়ে বসেন, যেগুলোর মধ্যে ছিল গণআন্দোলনের স্মারক, ব্যাজ, টি-শার্ট ও ব্যানার।
সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সংগঠনগুলো। তারা পরিবেশন করে গণসংগীত, প্রতিবাদী গান, জারি, কবিতা ও নাটিকা। এই আয়োজনে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়—গণমানুষের স্বপ্ন, সংগ্রাম ও নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা।
উপস্থিত অনেকে বলেন, ‘এই দিনটি শুধু শেখ হাসিনার পতনের দিন নয়—এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাস। আমরা চাই এটি জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাক।,
জুলাই ঘোষণাপত্র: মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনতার ঢল
জুলাই পুনর্জাগরণ শুরু সাইমুমের সুরে