চীনের ইউনান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ দেশটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) একদল বাংলাদেশি সাংবাদিক কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম অধিভুক্ত হাসপাতাল পরিদর্শন এবং প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় তারা এই আশ্বাস দেন।
ইউনান প্রদেশের হেলথ কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ওয়াং জিয়ানকুন বলেন, আমরা আমাদের হাসপাতালে আসা বাংলাদেশি রোগীদের সহায়তা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আমাদের সরকার এবং ঢাকায় আমাদের দূতাবাস স্বাস্থ্যসেবা খাতে সহযোগিতা জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে।
ইন্টারেক্টিভ সেশনে, চীনা কর্মকর্তারা ভাষার বাধা, পরিচারকদের আবাসন, ভ্রমণ ব্যয়, বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড অ্যাক্সেস, লিয়াজোন অফিস, ফলো-আপ চিকিত্সা এবং বিলিং প্রক্রিয়া এবং মৃতদেহ বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে যাওয়ার উচ্চ খরচ সম্পর্কিত বিষয়ে কথা বলেন।
ওয়াং জিয়ানকুন বলেন, বাংলাদেশি রোগীরা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হয় আমরা সে বিষয়ে সচেতন। আমরা এটি সমাধানের চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের প্রধান আজাদ মজুমদার চীনা কর্তৃপক্ষকে তাদের চীনের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। যাতে তারা বাংলাদেশের রোগীদের ভাষার বাধা অতিক্রম করতে সহায়তা করতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি চীনা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আরও বাংলাদেশি রোগী চীনে চিকিৎসা নেবে।
কুনমিং মেডিকেল ইউনিভার্সিটির প্রথম অনুমোদিত হাসপাতাল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে ৬৭ জন বাংলাদেশি রোগী লিভার সিরোসিস, স্তন ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সম্মানে চীনের স্থানীয় পররাষ্ট্র দফতর আয়োজিত এক ভোজসভায় বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য তাদের সফরের সুবিধার্থে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের মিডিয়া প্রতিনিধিরা শুক্রবার কুনমিং-এর আরও কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তি আজ
নির্বাচনের সময় ড্রোন ওড়ানো-এআই ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ইসির