বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন, যা বিনিয়োগ, বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষা খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয় মেইল।
মালয়েশিয়া সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথ ব্রিফিংয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শরণার্থী সংকট মোকাবিলা করা মালয়েশিয়ার অন্যতম অগ্রাধিকার। বিশেষ করে বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিয়ে ভারাক্রান্ত এবং এই দেশটিকে সমর্থন দেওয়া মালয়েশিয়ার প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং শরণার্থীদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে, মিয়ানমার সংকট সমাধানে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আনোয়ার বলেন, আমি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে নিউইয়র্ক, কাতার এবং এখানে মালয়েশিয়াতে বহুপাক্ষিক ফোরামে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রশংসা করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (মোহম্মদ হাসান) ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমার সফর করবেন, যাতে সেখানে শান্তি নিশ্চিত করা যায় এবং কিছু জাতিগত সংখ্যালঘু ও মিয়ানমারের জনগণের ওপর যে নৃশংসতা চলছে, তার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি সেখানে একটি ব্যবসায় ফোরামে অংশ নেবেন।
এরপর তিনি মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন।
পরদিন বুধবার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) আচার্য ও নেগেরি সেমবিলান রাজা তুয়াংকু মুহরিয ইবনি আলমারহুম তুয়াংকু মুনাওয়ির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা