ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আজ বিশ্ব ডিম দিবস

আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’। ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ডিম দিবস।

বিশ্বব্যাপী উন্নতমানের ও সহজলভ্য প্রাণিজ আমিষ হিসেবে ডিমের গুণাগুণ এবং এর খাদ্য ও পুষ্টিমূল্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

ডিমকে ঘিরে স্বাস্থ্যবান, মেধাবী ও পুষ্টিকর জাতি গঠনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উদ্‌যাপন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (IEC)। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি বর্তমানে ৮০টি দেশের সদস্য নিয়ে কাজ করছে। ডিম উৎপাদন, বিপণন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে এই সংস্থাটি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।

বাংলাদেশে এই দিবস পালনের সূচনা হয় ২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর, যখন বাংলাদেশ অ্যানিমেল অ্যাগ্রিকালচার সোসাইটি (BAAS) আন্তর্জাতিক ডিম কমিশনের (IEC) প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হয়। সেই বছর থেকেই বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ডিম দিবস উদ্‌যাপনে সক্রিয় অংশ নিচ্ছে।

এ বছরও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (BPICC), বিএএএস এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে নানা কর্মসূচি।

চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, একটি ডিমে রয়েছে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, যা দেহের কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, সেলেনিয়াম ও লিউটিন-জিয়েক্সানথিন নামক চোখের জন্য উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে, নারীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের রোগ প্রতিরোধে ডিম একটি কার্যকর খাবার।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টির জন্য নির্ভরযোগ্য দলিল’ এই স্লোগান শুধু একটি প্রচারণা নয়, বরং স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনের অন্যতম ভিত্তি।

বাংলাদেশ বর্তমানে বার্ষিক প্রায় ২৩৫ কোটি ডিম উৎপাদন করে, যা প্রতি বছর বাড়ছে। সরকার, পোলট্রি শিল্প এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে প্রাণিজ আমিষে ডিমের অবদান উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতেও ডিম ও পোলট্রি খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

NB/AHA
আরও পড়ুন