এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক দিনের জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের অংশ হিসেবে ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচির আওতায় তিনি এই প্রতীকী দায়িত্ব পান।
পঞ্চগড়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সাদিয়া সব সময় ন্যায়বিচার ও সমতার পক্ষে কাজ করে আসছেন এবং ইতোমধ্যে শিশু অধিকার ও জেন্ডার সমতার একজন তরুণ কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।
এ বছরের আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস শনিবার (১১ অক্টোবর) পালিত হয়েছে । এবারের বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য ‘The girl I am, the change I lead: Girls on the frontlines of crisis’ এবং জাতীয় প্রতিপাদ্য ‘আমি কন্যাশিশু- স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি।’ এ প্রতিপাদ্যগুলোই মনে করিয়ে দেয় যে সংকটের সময় মেয়েরাই পরিবর্তনের অগ্রভাগে থাকে।
এ ব্যাপারে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জানিয়েছে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কিশোরীরা প্রতীকীভাবে বিভিন্ন দূতাবাস, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সংস্থার নেতৃত্বে আসছে। এই উদ্যোগে কিশোরীরা প্রতীকীভাবে দূতাবাস, সরকারি দপ্তর, উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের আসনে এক দিনের জন্য অধিষ্ঠিত হয়- নেতৃত্ব বিকাশ ও প্রচলিত ধ্যানধারণাকে চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে।
সাদিয়া বলেন, ‘এই টেকওভার উদ্যোগ আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি আশা করি, আমার এই অভিজ্ঞতা অন্য কিশোরীদেরও উৎসাহিত করবে নিজেদের মূল্যবোধে বিশ্বাস রাখতে এবং এমন একটি পৃথিবী গড়তে, যেখানে সমতা বাস্তবতা হয়ে উঠবে।’
সাদিয়ার নেতৃত্বযাত্রা শুরু হয় ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্সের (NCTF) মাধ্যমে। তিনি জেলা পর্যায়ে সভাপতি এবং পরবর্তী সময়ে জাতীয় পর্যায়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এইচ ই হ্যাকন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন বলেন, ‘সাদিয়াকে দূতাবাসের প্রতীকী দায়িত্ব নিতে দেখে আমরা সত্যিই আনন্দিত। ‘গার্লস টেকওভার’ উদ্যোগ প্রমাণ করে যে ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই সমান সুযোগ ও নেতৃত্বের অধিকার আছে। বাল্যবিবাহ বন্ধ ও নারী শিক্ষার পক্ষে সাদিয়ার কাজ অনুপ্রেরণাদায়ক। মেয়েরা যখন ক্ষমতায়িত হয়, তখন পুরো সমাজ এগিয়ে যায়।’
টেকওভার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাদিয়া রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ইউএন উইমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে কিশোরী ও শিশুদের অধিকার, অংশগ্রহণ এবং তরুণদের ভবিষ্যৎ গঠনে মতামত প্রকাশের গুরুত্ব নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।
জেলেনস্কির কঠোর বার্তা নাকি রাজনৈতিক ঝুঁকি
চার্লি কার্ককে মরণোত্তর পদক দিলেন ট্রাম্প