বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ সুদানে গণহত্যা চলছে, দেশটির উত্তর দারফুর রাজ্যের আকাশে এখন ভেসে বেড়াচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডুলি, বাতাসে ছড়িয়ে আছে মৃত্যুর গন্ধ।
গত সপ্তাহে শহরটি দখল করে নেয় আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। ভয়াবহ এই অভিযানে কমপক্ষে ১,৫০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, যার মধ্যে শুধু একটি হাসপাতালেই মারা গেছে ৪৬০ জন।
সে ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
পোস্টে আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকটে পড়েছে আফ্রিকার দেশ সুদান। গত তিন দিনে অন্তত দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা, যার মধ্যে হাসপাতালের প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাদের স্বজনও রয়েছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘শুধু তা-ই নয়, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে দেশটির প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।’
আহমাদুল্লার অভিযোগ, ‘দরিদ্র দেশটিতে এতবড় মানবিক বিপর্যয় চলছে, অথচ বিপর্যয়ের তুলনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।’
তার প্রশ্ন, ‘আফ্রিকায় শান্তিরক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে সচেতন মানুষের মনে নানামুখী প্রশ্ন রয়েছে। সেই প্রশ্নই কি তবে সত্য? শান্তিরক্ষার নামে আফ্রিকায় তাদের কাজ কি তবে শুধুই নিজেদের আখের গোছানো? শান্তিরক্ষা নামের সার্থকতা রক্ষার্থেও কি তারা সুদানের সহিংসতা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেবে না?’
আহমাদুল্লার আরও প্রশ্ন, ‘এই একই ঘটনা উন্নত কোনো দেশে সংঘটিত হলে পৃথিবীজুড়ে যে তোলপাড় শুরু হতো এবং যে পরিমাণ মিডিয়া কাভারেজ পেত, তার সিকিভাগ মনোযোগও কি পাচ্ছে সুদান? গরিব এবং মুসলমান বলেই কি কথিত সভ্যদের কাছে তাদের জীবনের কোনো দাম নেই?’
