ঢাকা
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত

আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে মতভেদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে, সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পরিষদ। অন্যথায় সরকার নিজস্বভাবে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এ সময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ চূড়ান্তকরণ, গণভোট আয়োজন এবং তার বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। 

সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দিতে হবে। বর্তমান সংকটে সময় নষ্ট করার কোনো অবকাশ নেই।’

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত রয়ে গেছে। গণভোট কবে হবে এবং এর বিষয়বস্তু কী হবে এসব নিয়েও মতপার্থক্য বিদ্যমান।’

তিনি আরও জানান, ‘সভায় মতামত দেওয়া হয় যে গণভোটের সময়, এর বিষয়বস্তু এবং জুলাই সনদের ভিন্নমতগুলো নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।’

আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজস্বভাবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।’

সভায় আরও জানানো হয়, আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে সরকারের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত সপ্তাহে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সরকারকে সুপারিশ জমা দেয়। কমিশন প্রস্তাব করে, সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে গণভোট আয়োজন করা হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে, নতুন সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে। তবে গণভোটের তারিখ নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে কমিশন।

DR/FJ
আরও পড়ুন