সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘নির্বাচনের কোনো অনিশ্চয়তা দেখছি না, নির্বাচন ক্রমান্বয়ে অনিবার্য ঘটনায় পরিণত হচ্ছে।’
বরিশাল নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে বুধবার (১৯ নভেম্বর) নাগরিক প্লাটফর্মের প্রাক্-নির্বাচনী আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরো বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখতে চাই।’
এ লক্ষ্যে সংস্কারের ধারা অব্যাহত থাকুক। যে দলগুলো প্রতিশ্রুতি দেবে, সে প্রতিশ্রুতি তাদের রক্ষা করতে হবে। মানুষ কথা বলবে নেতাদের তা শুনতে হবে। সেজন্য আমাদের কথাগুলো আমাদের বলতে হবে।
আমরা নারীর বিষয়ে কি চাই-শিশুদের বিষয়ে কি চাই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা, সুশাসনের বিষয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ে আমাদের ভাবনা তুলে ধরতেই এই আয়োজন।
ইতোমধ্যে রাজশাহীতে তিস্তা ও ফারাক্কা নিয়ে প্রভাব তাদের সংলাপে উঠে এসেছে। আপনাদের এখানের বিশেষ সমস্যা রাজনৈতিক দলের ম্যানিফেস্টোতে যাতে উঠে আসে। সে কারণেই এই সংলাপ।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ইতিপূর্বে ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদদের ত্রিধারা দেশে অলিগার্ক সৃষ্টি করেছিল। এটা এমন একটি অর্থনীতি সৃষ্টি করেছিল যাকে আমরা অভিহিত করি চামচা পুঁজিবাদ। সেখানে রাষ্ট্রতন্ত্র ব্যবহার করে চোরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও পূরণের পদ্ধতি নিয়ে নাগরিক সংলাপে তিনি আরও বলেন-সংস্কার দিয়ে চোরতন্ত্রকে ভাঙতে হবে। আমাদের এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে কেউ পিছনে না থাকে।
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের মতবিনিময় সভায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাসদ, এনসিপি, গণধিকার পরিষদসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করে মতামতে সমর্থন করেন।
সকল বক্তাই বাজেট বরাদ্দে লোক সংখ্যা ভিত্তিক না হয়ে, দারিদ্রতা ভিত্তিক বা উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকা দেখে বরাদ্দের বিষয়ে দাবি করেন। পরামর্শ সভায়, নিরাপত্তা ও দুর্নীতি ইস্যু ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এ বিষয়ে সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টার প্রতি দাবি জানানো হয়।
সভায় বক্তারা উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ, কৃষি ও শিল্পের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি কৌশল প্রণয়নের গুরুত্ব উল্লেখ করেন। পাশাপাশি বক্তারা ঢাকামুখী কর্মসংস্থানের বদলে স্থানীয় পর্যায়ের কর্মসংস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আগামী নির্বাচনে কী প্রত্যাশায় ভোট দেবেন?, নবনির্বাচিত সরকারের কাছে কী প্রত্যাশা? শিরোনামে মুক্ত আলোচনায় রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষার্থী, কৃষকসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগের রায় আজ
১৬ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি