পুলিশের বিশেষ ইউনিট অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবারও শুরু হয়েছে ভুয়া নোটিশ ছড়িয়ে প্রতারণার চেষ্টা করছে একটি চক্র। চক্রটি সাইবার অপরাধ, পর্নোগ্রাফি, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনসহ বিভিন্ন অভিযোগ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো ও প্রতারণার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রচারিত এসব নোটিশ সম্পূর্ণ ভুয়া, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। এসব নোটিশের মাধ্যমে অপরাধীরা মানুষকে প্রতারিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সিআইডির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এ ধরনের নোটিশের সঙ্গে সিআইডির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ভুয়া নোটিশের উৎস শনাক্তে তদন্ত চলছে। যারা এসব নোটিশ তৈরি ও প্রচারে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিআইডি কর্তৃপক্ষ জনগণকে সতর্ক করে বলেছে, কারও পাঠানো সন্দেহজনক নোটিশ, সার্টিফিকেট বা বার্তায় বিভ্রান্ত হবেন না। প্রয়োজন হলে সরাসরি সিআইডির অফিসিয়াল সোর্সে যোগাযোগ করুন।
তিনি আরও জানান, এ ধরনের ভুয়া নোটিশ শুধু প্রতারণারই অংশ নয়, ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা হতে পারে। তাই অচেনা লিঙ্ক, বার্তা ও অস্বাভাবিক নোটিশ দেখে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সাইবার প্রতারণা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ বাড়ানোর আহ্বানও এসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে।
পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা অত্যন্ত কঠিন: দুদক চেয়ারম্যান